দীপ্তা,
ফ্রেমে বাঁধা ছবি মাঝে মাঝে কথা বলে উঠে,
বর্তমান ঠোঁট রাখে অতীতের ঠোঁটে।
বুকের অতলে উঠে ভয়ানক বিষ
সে' বিষ ধারণ করে নীলকণ্ঠ পাখি।
দু' আঁখি অশ্রুসিক্ত, নিঃস্ব রিক্ত হয়ে
শুধু শুধু বলি- প্রেয়সী বিদায়। আসলে তো সবি থেকে যায়,
এ' জগতে শূন্য কিছু নেই।
যা কিছু শূণ্য দেখি তা-ও তো পূর্ণ আছে কৃষ্ণ আধারে।
একদা এখানে যা হারিয়ে গেল সেও মাথা ফুঁড়ে -
পুনর্বার। আমরা বার বার স্থান চ্যুত হই,
স্থানহীন হই না কখনো।
এ' নিয়মে তুমিও তো আছো, থাকবে অনন্ত কাল-
এ' ভুবনে। এই আবর্তনে হয় তো হবে দেখা,
হয় তো হবে না।
হলেও তো সেই আমি, আমি থাকবো না,
তুমিও থাকবে না আগের মতন।
দীপ্তা,
সাগর শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যেতে পারে,
ঝর্ণা থামতে পারে পাহাড়ের বুকে,
এঁকে বেঁকে চলেছে যে খরস্রোতা নদী
তারও গতি হঠাৎই রুদ্ধ হতে পারে,
গড়ে উঠতে পারে চর বালিয়ারী জমে।
পাহাড়ের পাদদেশ নিরাপদ ভেবে
যে বেঁধেছে ঘর, মাচানের 'পর
সে' ঘরও ভেসে যেতে পারে
কোন এক পাহাড়ী ঢলে।
টলটলে কাদা মাটি ফেটে-
চৌচির হয়ে যেতে পারে কোন কোন আষাঢ়-শ্রাবণে।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি, তপ্ত লাভা স্রোত
পাথুরে পাহাড় হয়ে দেখা দিতে পারে।
পাথরের বুক ছিঁড়ে কোন এক বৃক্ষের বীজ
দুঃসাহস দেখাতে পারে মাথা ফুঁড়ে উঠে।
যেমন যা ছিল তা তেমন থাকে না
এটাই তো জাগতিক নিয়ম
বাইরে-ভেতরে শুধু চলে আবর্তন।