সাহিত্য সমাজ দর্পণ
"সাহিত্য সমাজ দর্পণ" এই প্রচলিত উক্তিকে আমরা পুরোপুরি সহজে স্বীকার করতে পারি না। কেন পারিনা? কারণ চলমান জগতে সংঘটিত সব কিছুই হিতকর বা মঙ্গলজনক নয়। বনে চন্দন গাছও হয় আবার বিছুটি গাছও হয়। আমরা সানন্দে চন্দন আহরণ করি আর সযত্নে বিছুটি এড়িয়ে যাই। কারণ চন্দনের সুবাসে আমরা আমোদিত হই, নান্দনিক তৃপ্তি পাই আর বিছুটি আমাদের চরম কষ্টের কারণ হয়। ঠিক তেমনি সমাজপটে শুভ-অশুভ, ভালো-মন্দ সবকিছুই ঘটে চলেছে। শুভ তথা ক্ষেমঙ্কর দৃশ্যপট আমাদের মনে শুভ ভাবনা জাগায়, শুভ পথে চলার প্রেরণা জোগায়। অপরপক্ষে কুদৃশ্য, কুকথা বা কুকাহিনী আমাদের মনকে কলুষিত করে দেয়। আমরা অধোগামী হই। সত্যি কথা বলতে গেলে আজকের অধিকাংশ সাহিত্যই নিম্নমুখী। মানুষের দুর্বলতার ষোলো আনা সুযোগ নিয়ে এগুলি কু প্রবৃত্তিগুলোকে সুড়সুড়ি দেয়। তরুন-তাজা প্রাণবন্ত সমাজকে গভীর খাদে ঠেলে দেয়। সাহিত্যিকের লক্ষ্য হবে সমাজের দৈনন্দিন ঘটনাপ্রবাহ থেকে দীনতা, হীনতা, তুচ্ছতাকে এড়িয়ে গিয়ে মানুষকে আলোকের পথে চলার প্রেরণা জোগানো। নিত্যসত্যের আনন্দস্বরূপকে তুলে ধরা।