জানতেই পারিনি, বুঝতেও পারিনি
কবে আমি ধীরে ধীরে পশু হয়ে গেলুম
কীভাবে সমাজ আমাকে জানোয়ার করে দিলো।
জন্মেছিলুম মাতৃজঠরে মানবদেহে
চোখ-মুখ নাক, যত যা অঙ্গ অবয়ব
সমস্ত কিছু ছিলো মানুষের মতই
আর ছিল রক্তিম কিশলয়ের মত
এক অপাপবিদ্ধ মন।
ধীরে ধীরে চোখ খুললো, সাবালক হলুম
অজান্তেই এলো বসন্ত যৌবন নিয়ে
মায়া-কাননে কত রকমারি গোলাপ
পাপড়ি মেললো ভ্রমরের অপেক্ষায়।
ভালো-মন মন্দ-মনের দ্বন্দ্ব-দোলায়
দুলতে দুলতে জীবনের কত গান গেয়েছি
পেয়েছি শুধু বঞ্চনা-প্রতারণার কালো গরল
নিপুণ কৃত্রিমতার সুনিপুণ অভিনেতাদের।
সমাজে সবই এখন নকল পাওয়া যায়
নকল চাল, নকল ডিম, নকল সঙ্গী তা-ও
হাসি নকল, ব্যবহার নকল, নকল আছে গানও
সাধুতা সরলতার তবে কি দাম নেই কোন।
আমার মত লক্ষ নর-পশুর মাঝখানেও
অবশ্যই নরদেবতা আছেন কেউ কেউ
কর্দমাক্ত পঙ্কিল জলেও পঙ্ক ফোটে
হে ঈশ্বর তুমি আমাকে দগ্ধবীজ করো।