তুমি চৈত্রের নিশীথ দোল পূর্ণিমার রৌশন
আর্ত চোখে তুমি মোর বেঁচে থাকা,
তুমি বৈশাখের মাতাল ঝড়োরাত্রি।
রাঙ্গা বসন্তের গোধূলি-সমীর তুমি;
প্রয়াত রাত্রির মলিন ভোর—
ভাঙ্গা ঘরে নিভু নিভু আলো তুমি,
ঘুমহীন বিধ্বংসী রাত্রিগুলোতে
তুমি একমাত্র বন্ধু মোর।
তুমি মেঘের দেহ বেয়ে ঝরা প্রেম;
বৃষ্টির জল হয়ে ভেসে বেড়াও আদিগন্ত—
তুমি ফুল, তুমি নারী, তুমি ঈশ্বরী
আড়ষ্ট চোখে রাধিকা তুমি,
আমি রসের নাগর শ্রীকৃষ্ণ অশরীরি ।
তুমি যেন শূরাভর্তি খয়েরি পেয়ালা
তোমার পদপৃষ্ঠে মাথা নত করে দুঃখ,
তীব্র ব্যাথাতুর ভূলে যায় জঠর-জ্বালা।
উন্মত্ত চিত্তে কামনার বজ্র তুমি
বাসনার পোঁড়া অঙ্গার—
আমার দেহে পরজীবি তুমি
ক্রমঃশ ছড়িয়ে পরছো আতনু;
অস্থি-মজ্জা-হৃদপিন্ড তোমার খাবার ।
পাপ তুমি, পুণ্য তুমি ,তুমি ফুল
হে নারী—
জগতে তুমি মহামায়ার আলো আঁধারি..।