ক্ষান্ত যাও ওরে রক্তভোজী জোঁকের দল,
এবার থামো।
আমার কাঁশফুলের মত ভূখন্ডের বুকে
আর কত লাল কালিমা আঁকালে
তোমাদের রক্তরাস শেষ হবে ?
এবার বলছি থেমে যাও।
থেমে যাও—
থেমে যাও—
থেমে যাও সব শকুন ! নরমাংসভোজী
স্বাপদের দল !
বলছি থামো—
ক্ষান্ত যাও।
প্রেমশূণ্য চিত্তে আদিম হিংস্রতা পুষে
তোমরা কেবলই আজ রক্তপিপাসু, পশুমানব।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে
একটা প্রাণীর মস্তক
কি পরিমাণ কীটের দখলে গেলে
প্রাণীটি স্বজাতিকে ভক্ষণ করে—
হত্যা করে—?
গুম করে—?
বর্বরতার অগ্নি-হোলিতে মেতে
লাশ ফাঁলি করে নদীকে অন্নদান করে ?
একের পর এক নরবলী দিয়ে মেতে ওঠে
রাজনীতিক নামক দেবতাদের পূজা-যজ্ঞে।
তোমরা পুড়ে ফেলছো বোধের শরীর
মেতেছো পাশবিকতার খান্ডব লীলায়;
মানচিত্রের বায়ুমন্ডল দুষিত করছো
দুর্গন্ধের দ্রুত ব্যাপনে—
প্রতিটি নিঃশ্বাসে গৃহীত বাতাসটুকুও
হৃদপিন্ডে গিয়ে রক্তের সাথে মিশে
হায় বাঙ্গালী—!
হায় বাঙ্গালী—!
হায় বাঙ্গালী—!
শীৎকারে ফিনকি দিয়ে যখন প্রবেশ করে
ধমনী-রক্তে-শিরে—
তখন সহসা বন্ধ হয়ে আসে হৃদস্পন্দন।
চেতনার গৃহকোণে গেঁথে গেছে
কেবল গোবরেপোকার বিষবর্জ্য ;
খুঁড়ে খুঁড়ে খাচ্ছে তোমাদের মগজ।
সেথা একটিবার প্রেমের শূক্রাণু দাও
একবার শুধু থামো বলছি, ক্ষান্ত যাও...।