ফের কোথা যেতে চাও মৃণ্ময়ী;
কিসের খোঁজে?
এতটা লাগামহীন দুর্বিনীত
তোমার বাসনার ঘোড়া?
বুকের মরুপথ ধরে, বেদুঈন বেশে,
চাবুকের ঘনঘন কষাঘাতে
ছুটছে তোমার পাগলা ঘোড়া বেতালে-
দীপিকা-রজনী যায় যে বিফলে। ।
এমন স্বর্গ-যামিনী-তলে
জলতরঙ্গে জোৎস্ন্যা খেলে নিরলে !
কোথা হতে যেন ভেসে আসে বংশীধ্বনি;
শ্রবণেন্দ্রিয় ঘেঁষে মিশে যায় দূরদেশে
অসীম উর্ধ্বে, অচিনদলে-
শারাবী রজনী যায় যে বিফলে। ।
প্রিয়ে, ওগো আজন্মপ্রিয়ে!
এবার ফেরাও বাসনার লাগামখানা-
পলক রাখো এই পলকে,
মমতার পালক মেলে ধরো
উড়াও প্রণয়-ডানা ।
বৈকুন্ঠের উদগরিত পরমানন্দ-মিছিলের মত
তোমার ও আমার সমতলে
এই প্রেমময় অরণ্য,
এসো নিঃশব্দে, বুকে বসো
অবগুন্ঠন ফেলে-
মধু-রজনী যায় যে বিফলে। ।
কত নিশি জেগে জেগে প্রতীক্ষা
তোমার অমলিন কেশে লুকিয়ে লুকিয়ে
ঢেউ খেলব বলে-
ফের কেন যেতে চাও উর্বশী?
চেয়ে দেখ চাঁদের চোখে টলমল ঘুম;
এমনও রজনী যায় যে বিফলে। ।