কতগুলো নাজায়েজ উদ্বেগ
কিছু উদ্ভ্রান্ত অবহেলা, দুঃখ-ঘৃণা-লজ্জার,
প্রথাগত জীবিকার মন্ত্র বেসুমার-
দেখ, লুটে নিয়ে যায় ভাবনা-রতন
কেড়ে নেয় বোধ-সুকুমার।
আমার সত্ত্বার অভ্যন্তরের তিস্তা হতে
শুষে নিয়ে সব শ্রাবণের জল-
স্রোতস্বিনী মনটা সহসা স্রোতহীন,
কূলে নেই ঢেউয়ের তপোধ্বনি
আর বাজেনা কলকল।
মরুকরণের ষড় যন্ত্রে মেতেছে বুঝি
ভুবনেশ্বর-জগতপতি-স্রষ্টা সর্বজ্ঞানী-
তারে পেতেই সেঁধে যাই গান
পাগল বেশে, ব্যাকুল দিন রজনী।
ক্রমশ যাচ্ছি চলে অজান দেশের অতলে-
যতই টানছে মহাকাল
ততই বাড়ছে মোহের জাল
আর আমার ভেতরের বৈরাগি পাখি
নিভৃতে করছে ডাকাডাকি, একাকী নিরলে-
প্রতিটি অন্তিম ঊষার ভোরে
প্রতিবার সূর্য্যের জন্ম ও মৃত্যু কালে-
নিয়ন আলো ও দুঃখের সংক্রান্তিলগ্নে
নিরন্তর ঘৃণার শেল বুকে, চোখে, মস্তকে
বারং বার মরে বাঁচি সন্তর্পণ আবডালে
আমার সব ভেসে যায় অবহেলে।