শতকিয়া পাখি এক,
উড়ছে অনন্তে।
রমা অপেক্ষায় থাকে।
দিনের হিসাবে দিন ফুরায়, মাস গড়ায়।
লাল কৃষ্ণচূড়ায় কখনো বা শতকিয়া, তার ঝুঁটি,
চকিতে রমার খোঁপায় ফুল গুঁজে দিবে বলে,
ঐসব বিবর্ণ কদমের গায়,
শ্যাওলা গজায়, অপেক্ষায়!
মাঠের সব ঘাস,
সূর্যকে প্রতিফলিত করে না যারা কখনো,
বিবস্ত্র বসুধাকে ঢাকতে,
শীতের ঝরা পাতায় ঘাড় গুঁজে নেয়।
তবু অপেক্ষা না ফুরায়,
রমা অপেক্ষায় থাকে!
বিস্তীর্ণ প্রান্তরের উদোম সব গাছে,
যখন ইতিউতি নতুন পাতা,
নাহ্, নতুন বোশেখে ও অদৃশ্য শতকিয়া,
উড়ছে অনন্তে!
কালবোশাখীর বিজলী, আকাশ চিরে,
শতকিয়া উধাও!
রমা অপেক্ষায় থাকে, ভাবে,
শতকিয়া একদিন মানুষ হবে!
যারা ক্লান্ত হয়, ঘরে ফিরে,
যাদের দিন গুণে,
মাস ফুরায়,
বছর জুড়ায়,
অপেক্ষায় থেকে - ঐসব শতকিয়ার!
তাই বছর জুড়ে রমা,
ঘাড়ের বয়সী খোঁপায় ফুল খুঁজে, ভাবে,
শতকিয়া পাখি এক,
কিন্তুু সে মানুষ হবে!
আশ্চর্য, অপরাজিত মানুষ।