অমন উশখুশ করো না তো মাধবী ;
জাত যাবে, যাক জলে।
এই যে ফাগুনের দিন, ক্যালেন্ডারের পাতা গুণে
শেষ হচ্ছে ক্রমশঃ ;
কই তবু তো তুমি চাদর জড়িয়ে আছো?
তাতে কি ফাগুনের জাত গেছে?
কলঙ্কে কাঁদছে বসন্ত?
গাছগুলোতো আজও উজবুক ;
দাঁড়িয়ে আছে মৃত পাতার শ্মশান হয়ে।
তবু জানি, ফাগুনই তো পাতা ঝরানোর দিন।
চৈত্র শুধু উৎসব করে যাবে, ঐ পুরুষটির মত ;
যে তোমায় অধিকার করে নেয়, আমারই সামনে
কতকগুলো অর্থহীন মন্ত্রের মারণাস্ত্রে ;
শব্দ দিয়ে বুনে দেয় পবিত্রতার জাল।
ঘৃণা করি এসব সমাজ আমি।
আরও অনেকের মত উচ্চস্বরে বলব,
'গোমাংস খেয়ে সচ্চিদানন্দ হব না আমি'
হৃদয়ে ঈশ্বর নেই আমার, থাকার প্রয়োজনও নেই।
ভালবাসলে ঈশ্বর সবার কাছে যায়।
কিন্তু, তুমি নও।
তুমি শুধু ঐ পুরুষটার, যে ভাল না বেসে ও,
শুধু ভালোবাসবে বলে, বাঁকা হাসি হেসে,
আর কিছু অর্থহীন শব্দ, তোমার শরীর,
সিঁথি জুড়ে সিঁদুর ;
তোমার ভিতরটা দেখবে বলে গোঙাচ্ছে পশুর মত।
অথচ আমি, তাকিয়ে দেখ, শান্ত নিরুদ্বেগ,
ফাগুনের পানে চেয়ে আছি।
জানি আমি, পাতা ঝরাবে না সে আর।
তার মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে চৈত্রের উৎসবের
রাত শেষ হবে।
তাই অমন উশখুশ করো না তো মাধবী,
শুধু একটাই তো চুমু ;
চাঁদের মত বাঁকানো ঐ ঠোঁটে।
জাত যাবে, যাক জলে।
মনে রেখ, এ শুধু চুমু নয়,
এ আমার ভালবাসার অটোগ্রাফ।