: একটু পরেই নৌকো এসে যাবে...
...
তুমি ফিরে যাবে?
: এখানে আমার আর কিছু নেই।
.
: মধ্যবর্তী পাওনাটুকু...?
: ঘাতক-সর্বনাশী-অপ্রীতিকর, নাহয় নাই বা নিলাম।
: তুমি নিশ্চিত ! ওইপারে সব আছে... বিশ্বাস, শান্তি, প্রীতি?
: আছে কেবল অস্তিত্বশূন্য অবিচ্ছিন্ন নিস্তব্ধতা ।
: আমি ভাঙতে পারি না ? নৌকো যদি ফিরত যায় ... তুমি থাকবে?
: এখানে আমার আর কিছু নেই ...
: সকলই এখানে, তোমার অবিশ্বাস , অবহেলা, বিভ্রান্তি সেই কবেকার বিশ্বাস , নিঃস্বার্থতার পায়ে দাঁড়িয়ে
: ভুল করছ। কোনো কিছুই নিরপেক্ষ নয়।
এই কাগজটা রাখো । যখন নৌকো একেবারে অদৃশ্য হয়ে যাবে তখন পড়ে দেখো ।
: .....ভীষণ অস্থির লাগছে। মনে হচ্ছে, তুমি আমায় কোনো অন্তহীন
সময়ের পাহারাদার করে চলেছ। অসমাপ্ত... ।
: সমাপ্তির আগে পর্যন্ত সকলই অসমাপ্ত ....
: পা ডুবছে জলে । দুপাশের কাঁটাঝোপে ফুলের গন্ধ। অন্য সময় হলে মেনে নিতাম , আলস্যতা । এখন মনে হচ্ছে অস্থিরতা।
: বললাম যে ,কোনো কিছুই নিরপেক্ষ নয় ....
: অতএব, তুমি যাবে। আমার অবস্থান আপেক্ষিক। আমি নিরুপায়। এবং অভিমান করার অধিকার আমার নেই !
: বসন্তের মৃদু বাতাসে দোলা দেয় জলে .... ।
সে তোমার অভিমান বয়ে আনে পালে।
ফুলের গন্ধ ছুঁয়ে যায় তোমার বিশ্বাসে।
: তুমি অনুভব করতে পারো ?
: পুরোনো কড়ির মালাটা রেখো । তোমার সম্পদ।
: উত্তর দিলে না যে?
: ভালো থেকো ....
(নৌকো অদৃশ্য হয়ে গেল । এখন দৃশ্যমান শুধু এক টুকরো কাগজ,তাতে লেখা ।)
"" হারানোর মতো কিছুই নেই আজ শুধু তুমি ছাড়া ।
দূর থেকে দূরতর স্মৃতি । যেখানে সব ঢেউ অসন্তত। অসন্তত- এখানে অন্ধকার।
মন চাইলেই তুমি ফুলের গন্ধ পাবে, মৃত পাতাদের কান্না শুনতে পাবে।
বসন্তের সবুজ হিমে সাজানো ধানের ক্ষেত , ছুঁতে পারবে।
সাক্ষী হতে পারবে মেঠো ইঁদুরের চঞ্চলতার।
কৃষ্ণকলির পায়ের ছাপে সন্ধ্যে ফুরাবে
ওর আটপৌরে শাড়ির পাড়ে গোধূলি এসে নামবে।
মন চাইলেই তুমি দেখবে
তুমি দেখতে পাবে
সব তোমার কাছেই। তোমার সম্মুখে।
পায়ের পাতা ভিজছে জলে তুলে নাও।""
-----------------------------------)
(হয়তো প্রশ্ন উঠবে এটা কি কবিতা নাকি?
এটা আমার "ছায়াতরীর চুপকথা" সংকলনের চতুর্থ পাঠ
মূল কবিতা ভাবনা ইনভারটেড কমার মধ্যবর্তী অংশটুকুতে বাকিটা ভাষ্য ,একটি কথোপকথন যা ব্যতীত কবিতাটি সম্পূর্ণ নয়, তাই এখানে সম্পূর্ণটাই পোস্ট দিলাম।
তবু যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, বা বাংলা কবিতা ডট কমের নিয়ম বিরোধি হয়ে থাকে তবে তা প্রিয় কবিগণ কমেন্টে জানাবেন।)