নিয়ত, কুয়াশায় তোমার চলাফেরা অনুভব করি,
শিহরণে দীর্ঘ বছরের নিশীথ শ্বাস।
চিতা বাঘের শিকারের কায়দা
বন্য হরিণের ফাঁকি দেওয়ার কৌশল,
ঠিক ঠিক যেথা যতটুকু দরকার, প্রকৃতির ধার্য ততটুকু।
যদিও একটা সমাজ আর তুমি আমার ভাগে ছিলে,
এখন অরণ্য আর অজগরের দেশে
বিষফুলের গন্ধে, বিষাক্ত জলে,
দিন-রাত্রির আস্ফালনে সূর্য-তারা ওঠে নামে।
ভীষণ গর্জন, ভীষণ হুংকার, ভীষণ ফিস্ফিসানির মাঝখানে-
কিছু স্থায়ী, সুন্দর প্রজাপতি ঘেরা একটা অঞ্চল, খুঁজে পেলাম আজ।
এখানে তোমায় মানাবে ঠিক।
নীল রাঙা মেঘ পরে একরাশ বৃষ্টি বুকে নিয়ে কিছু রংধনু লুকিয়ে তুমি ফুলের শিখরে প্রজাপতি আঁকবে।
ইচ্ছে হলে ঝরণা, ইচ্ছে হলে নদী হবে।
তোমায় ঘিরে সভ্যতা গড়ে উঠবে !
আবার, তুমি আমি বহিষ্কৃত হব বছর পরে এ অঞ্চল থেকেও;
সাথে যাবে প্রজাপতি দল, কিছু বনফুল, নদী জল কিছু, কিছু রংধনু।
সফর হবে শুরু।
আবার বিরহ নামবে,
কোনো দুর্যোগ রাতে , তুমি আমি কে কোথা;
চুরি যাবে ফুল, প্রজাপতি দেহ, রাঙা মেঘে কালো ছায়া...
বুঝে নেব আমি
তুমি শুধু রূপকথা নও, গরলেও মিলে যে কায়া
তুমি সেই।
হতাহত আশে, কিবা কঠিন বাতাসে
মৃত্যুর ভিড়ে, ফিরে আসি ফিরে
অরণ্য আর অজগরের দেশে
বিষফুলের গন্ধে, বিষাক্ত জলে
বনবাসের শত শত বর্ষে
বুঝি ,তোমাকে মানায় না এইখানে,
তাই দূরে রাখি , কুয়াশায়।
আমাদের চলাচল আর কতটুকু বাকি পৃথিবীর পরিখায়?
এক্ষণে থামি, জানো ,অহম ভুললে প্রিয়, সহজেই থেমে যাওয়া যায়।