একটা কবিতা লিখলাম
নীচে লিখলাম, "সব চরিত্র কাল্পনিক"
আমার ছুটি ওখানেই,
আমি মুক্ত।

মনে মনে ভাবলাম,
বাহ্! "সব চরিত্র কাল্পনিক"!
এইতো পেয়েছি,
চিৎকার করে বললাম
"সব চরিত্র কাল্পনিক" ...

আমি লজ্জিত নই, অনুতপ্ত নই।
কিছুমাত্র অনুশোচিত নই।

কোনো একখানে লিখলাম ,সুন্দরী নারী-সুসজ্জিতা
হাতে-পায়ে-গলায়-খোঁপায় তার সুগন্ধি ফুলে তৈরি অলংকার।
সে আমার প্রেমিকা হবে।
তার প্রেমে, উন্মাদনায় বুঁদ হয়ে আমি মদিরা পান করে যাব।
আমার নখের আঁচড়ে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত হবে
তার কানে ফিসফিস করে বলব, এই তো প্রেম, জন্মদাগ, ভালোবাসা...
সে আতঙ্কিত হবে
ভয়ের স্পষ্ট বলিরেখা দেখা দেবে তার চোখে মুখে।
সে পালাতে চাইবে,
আমি শিকল দিয়ে বাঁধব তাকে
আষ্টেপৃষ্ঠে
তার শেষ অলংকারে
চিৎকার করে বলব,
"কেন ব্যথা দিলে নারী
তোমায় যে আমি ভালোবেসেছিলাম"
তারপর,
তার অলংকারের ফুল যখন পিষ্ট প্রায়
আমি তখন বিরহ সাগরে ডুব দিয়েছি
ঝিনুকের শরীর ছিঁড়ে, ছিন্ন ভিন্ন করে লাল নীল মুক্ত খুঁজে নিতে।


তাকে বলে এসেছি
"শিকলের কান্না সহ্য করে থেকো
কথা দিলাম, তুমি "অমর" হবে ।"

আমি মুক্ত
আমার ছুটি।

আমি লজ্জিত নই, অনুতপ্ত নই
কিছুমাত্র অনুশোচিত নই।

এরপরেও
সব চরিত্রে কাল্পনিকে
শন্ শন্ শব্দ বাতাসের,
শেকল আছড়ে পড়ে
মানিকবাবু আপনি
শেকল ভাঙ্গতে পারেন ।।