"আয় !
তোকে সাজিয়ে দি
কই কপাল!
থাম! চুপটি করে বস মা,
আমায় দে কাজললতা টা
দুষ্টুমি করিস নি। দে।
দে মা লক্ষ্মীটি ।"

ছোট্ট মেয়েটা আঙুল ভরে কাজল মেখে আধো বোলে বলত,

"আয় আয় চাঁদমামা
টি দিয়ে যা"

তারপর মায়ের কপালে টিপ দিয়েই
খিলখিল করে হেসে লুটিয়ে পড়ত মায়ের কোলে।

"আচ্ছা
এবার আমি? ...
"আয় আয় চাঁদমামা ..."

"মা ! ওটা কী?"
"উড়োজাহাজ"
"আর ঐটা"
"চামচিকা"
"আর..."
"আর এইই ... টা পেঁচার নাক.....
যা খেল ,মেলা কাজ বাকি ..."

সে সময় কবেকার...

আজ হঠাৎ মেয়েটা-

মা! ওমা ,মা
আমাদের কাজললতাটা কই?
ও মা ! মা! মা গো!
মা!

খুঁজতে খুঁজতে ডাকতে ডাকতে
মেয়েটা কোন সূদূরে গেল
একটা ফাঁকা ঘর
আসবাব নেই
দেওয়ালের গায়ে কয়েকটা আঁকিবুকি
চামচিকা,
উড়োজাহাজের ছবি ...
মেয়েটা ডাকল
মা ! ও মা!
সেই ডাক চারগুণ হয়ে ফেরত এল যেন
তারপর আটগুণ
তারপর আরও আরও
শব্দ হৃদয়ে শব্দের সমাপতনে
অগণিত প্রতিধ্বনি,
তবু
মেয়েটা ডাকছিল ডেকে চলেছিল
না জানি কতদূর,


তার কপাল জুড়ে চন্দন।
অসংখ্য অযাচিত রক্তের দাগ ঢেকে দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে ।

মেয়েটা হাসছে না।
সে ডাকছে
ডেকে চলেছে
মা ! ও মা! আমাদের কাজললতাটা কই?