উত্তপ্ত দুপুর বেলা স্নিগ্ধ ছায়া ঘেরা,
শতবর্ষী শিশু গাছ ডালপালা মেলে,
পরম স্নেহে আগলে রাখে বাহু তলে,
জড়িয়ে শীতল ছায়া মুছে ক্লান্তি জরা।
কে যেন ডাকিলে মোরে খুঁজে ফিরি সারা!
ফিসফিসিয়ে কানে সে মিষ্টি স্বরে বলে,
একটু খানিক বসো বন্ধু তুমি হলে!
জমা কথার পাহাড় কষ্টে বুক ভরা।
কে তুমি? কোথায় আছো? বলি আমি হেঁকে!
কি দুঃখে কাঁদো বন্ধু? বলবে আমাকে!
শিশু গাছ বন্ধু আমি শত বর্ষ ধরে,
পাখিরা আশ্রয় নেয় প্রশস্হ শাখাতে,
দস্যুরা কেটেছে তাহা নিধনের তরে!
রক্তাক্ত ব্যাথাতে কাঁদি নির্দয় ধরাতে।
যদি তুমি বাঁচাও ভুমি স্নিগ্ধ শীতল তল,
বাঁচবো আমি স্বপ্ন চুমি মুছে চোখের জল।
ইচ্ছে মনে বেড়াই সনে বাঁধন হারা প্রাণ,
মনটা টানে সাগর পানে করি সুখে স্নান!
হাতটি ধরে বন্ধু মোরে নেবে হেথা ঠিক?
বেঁধো সুরে বাহু ডোরে দিও নাকো ধিক।
কাটিছে দিন ঠিক প্রতিদিন দুজন বন্ধুর বেশ,
বেড়েছে ঋণ হৃদয়ে বীণ সুখের নাইকো শেষ।
ডাকছি বন্ধু পরাণ সিন্ধু সাড়া নাহি দাও!
অশ্রু বিন্দু গড়ায় শুধু বললে ফিরে যাও!
এখন আমি গেছি থামি সময় হলো শেষ,
নিঠুর ভুমি গাছটাই দামি হৃদয় ভরা দ্বেষ।
রক্তে রঙে ঝরছে অঙ্গে - কেমনে বন্ধু কই!
ঘূরবো সঙ্গে মন বিহঙ্গে, ভাগ্যে নাহি সয়।
দুচোখ বেয়ে নামছে ধেয়ে অশ্রু লোনা জল!
মায়ায় ছুঁয়ে বিদায় দিয়ে ভাসছে ছায়ার তল।