সেদিন
মহামায়ার আসরে পুরোহিতের যজ্ঞে হোম ছিলো মৌনতার আহাজারি।
কতটা আয়োজন করে আমাকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে নিরব হতে এই মহাযজ্ঞের হোমে আমাকেই রাখলে।
আমি নিরব হলাম,
এখন আমার চপল যুগলে আর শব্দ হয় না।
খুব নিরবে কবিতার পঙক্তি মুণ্ডপাত করে আমাকে নিরবচ্ছিন্ন নিরবতা উপহার দেয়।
ঠিক আমিই সেদিন শক্ত চটি কিনেছিলাম,
যেনো আমার পদশব্দ ভারী করে তোমার মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ গুলোকে,
তুমি নড়ে চড়ে বসো তোমার মন খারাপ নিয়ে,
হাসিমুখে আমাকে অভিনন্দন জানাও,
ঠিক সেই লোভটাকে সামলাতে পারি নি এতদিন,
ঠিক এখন আমার জুতো ও শিখে গেছে।
চায়ের কাপে চন্ডাল পদস্খলন করতো প্রতি চুমুকে,
সে এখন নিরবে চায়ে চুমুক দেয় বিষাদ অসহায় নিয়ে,
তবু তার নিরব থাকাটাই কারো ভালবাসার কারন হয়ে গেছে।
উচ্চারণ,শব্দ সব কিছু তেই সন্ধ্যা আজ আমার।
ভালবাসতে গিয়ে নিরব হতে হবে এটাই প্রথা।
একটা সময় খুব কেঁপে উঠতাম,
এই বুঝি সব থেমে গেছে আমাদের!কিন্তু যা থেমে আছে তাকে কি করে চালিয়ে নিচ্ছি তা আমাদের ইশ্বরের শহরের দেয়ালে লিখা আছে গ্রীক পুরাণ মতবাদের মত করে।
নিশ্বাস গুলোকে পেন্সিল দিয়ে আকতে শিখে যাওয়া মানুষ
কখনো আঘাত পায় না,
বারংবার মুছে নতুন করে আঁকে।
তোমাকে ভালবাসলে বোধহয় নিরব হতে হয়?
যেই মানুষ টা তোমার জুতোর ফিতাটা বেধে দিতে দ্বিধা বোধ করে না একপাল শকুনের শশ্মানে,
সেই মানুষ টা কি করে নিরব হবে,নিরবতাকে ভালবাসবে বলো তো?
মহাকাল শব্দ করে তবেই,
ইতিহাস করে থাকে।
মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করে তোমার মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ আমার বসবাস,
তো নিরব আমি কি করে হই বলো ত মৌনতা?
গজাননের লাড্ডু আর আমার নিরবতা একই গোছের।
রোপনকৃত বৃক্ষ কখনোই বৃথা ভেঙে পড়ে না,
কিন্তু ঘর পোড়া করা গাভী সিদুর কিংবা মেঘ দেখলেই হন্তদন্ত হয়ে তদন্ত করে করে বেড়ায়,
আমিও কিনা সেই দল ভুক্ত!!!
রাষ্ট্র বিভাজনের আয়োজন তারা ঠিকই করেছে,
কিন্তু আয়োজন টা কিসের সেটা নিয়ে বেক্ষাপ্পা মনের যত প্রশ্ন।
কয়টা মহাশ্মশানে চিতা চলবে?
খালি হবে কতটা আঘাত এর বিষাদ।
ইশ্বরের শহরে ঝুলবে কতটা ভালবাসার।
ইশ্বর কি কাদে?
তিনি কষ্ট পায়?
ভালবাসার বিচ্ছিন্ন প্রতিসাম্য সিমেট্রি দেখে?
তবুও নিরব হবো।
কবিতা: তবুও নিরব হবো।
কবি: ভট্টাচার্য আর্ক
লিখার সময়: ২৬ জুন,২০২১
লিখার স্থান: ঢাকা