আর্তনাদ
   -ভাস্কর পাল

বাংলার বুকে রক্ত পলাশ আর যে ফোটে না,
কোকিলের সেই কুহু কুহু তান আর যে শুনি না।

পাতা ঝরানোর দিন এসেছে
শুধু শোনা যায়, ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি
ঘোর আর্তনাদের ছায়াছন্নতায়;
বিষাদিত আজ বাংলার মাটি।

বাংলার বুকে রক্ত ঝরছে
রক্তে রঞ্জিত বাংলার মাটি,
ঐ যে ভাই শুনতে পাশ
ঐ দূরেতে-
দেশ মাতার বুকের কাঁদুনি।।

ঐ যে সেই রাত্তিরেতে
হল্লা পড়েছে হুঙ্কারেতে-
শিয়াল কুকুর ছিঁড়ে খাচ্ছে,
নির্মম নিরীহ সেই নারীর দেহ।
আর্তনাদে ভেসে আসছে
মধুর্যের এক নির্মম ধ্বনি।
তবু নিষ্ঠুর এ জগৎ কিছুই শোনেনি।

সেই রাতে কাউকে সে পাইনি পাশে,
কলঙ্কিনী চাঁদের থেকেও বেশি-
কলঙ্কের চিহ্ন পড়েছে মেয়েটির বুকে।
ভারতমাতা তবুও অন্ধ
মাটিতে মিশেছে দূষিত রক্ত;
সেই দেহ ছিন্ন ভিন্ন....

আইনের চোখে কালো পর্দা,
দিন রজনীর তফাৎ বোঝে না।
মানুষ আজ পাষান বড়োই
আর্তনাদের ধ্বনি শোনে না;
তাদের কানেতে তুলো গোঁজা।

ব্যার্থ হয় নিঃসঙ্গ সময়ের প্রতিবাদ;
পৃথিবীর কাছে গোপন থেকে যায়
আহত হৃদয়ের নিশ্চুপ আর্তনাদ।
ভেসে আসে তবু সেই ডাক-
শুধুই আর্তনাদ, আর্তনাদ...