তোমায় কী করে বোঝাই ---,
বুকের জমানো বেদনা ,স্মৃতি করে রেখোনা
নীরব হয়ে বেঁচে থেকে পাবে সুধুই যন্ত্রণা ।
মান অভিমানের মাঝে, ভাবনা এক বাসনা ।
নীরবতার হাত ধরে সময় বসে রবে না ।
তোমায় কী করে বোঝাই -
এ -কী ,যাতনা ।।
নীরব থাকিলে নেতা, নেতিয়ে যেত কবে;
ভারত কি স্বাধীন হত -পরাধীনতার মাঝে ।
না কাঁদিলে শিশু -মা কি দেয় দুধ
চোর যেতো চুরি করে - থাকলে ঘরে চুপ ।
কী করে বোঝাই বলো,
আমি কী থাকবো এবার চুপ ।।
নীরব থাকিলে বাতাস,
ফুলের সুবাস কি পাওয়া যেত,
পাখির কাকুলি কেমনে শোনা যেত, -
জলের কলতানে ছন্দের অনুরাগে -
প্রভাতী হতনা গাওয়া ।
নীরব হয়ে থাকে না গাছের -ও ছায়া ।।
কী করে বোঝাই -,
নীরব থাকিলে কী করে হবে চাওয়া পাওয়া ।।
ইশারা ই সব যদি ব্যাখ্যা করা যেত -
শিক্ষিত ও অশিক্ষিত র ভেদ কেন হতো ,
মূর্খ, পণ্ডিত , রূপে বিচার হতো -
কালো অশিক্ষিত, পণ্ডিত সুন্দর হতো।।
ইশারা ই যদি গাওয়া হতো গান,
রাগ -অনুরাগ -ছন্দ ভরাত কি মন প্রাণ ।।
অন্ধ কি করে বুঝত সে গান ।
কোন রঙে রাঙা ছবি, ক্যানভাসে কার রয়েছে প্রাণ ।
তোমায় কী করে বোঝাই বলো,
আমার নাই অপার শক্তি, আমি নই তো মহান ।।
নানা ভাষা নানা বুদ্ধি , নানা মত ভেদ
নীরব থাকিলে বাড়িবে যে মেদ ।
মানব শ্রেষ্ঠ জীব মুনি ঋষি কয়,
নীরব থাকিবে, নীরবতার সময় ।
মনের যতো ভাব প্রকাশ না পাইলে '-
সৃষ্টি কেমনে হবে, প্রগতি কে জানতে।
কী করে বোঝাই বলো, বোঝা ভরা মাথা ,
এলোমেলো হয়ে যায় ,রাস্তা বড়োই কাঁচা ।।
পরান খুলে হেসো বন্ধু ভরবে মন-প্রাণ ,
কাঁদলে কেঁদো পরাণ খুলে, -রেখো চোখের মান ।।
পরাণ খুলে কহিলে কথা,
চলিতে পথ সোজা ।
জলকে, গিয়ে আধা কলসি সেও তো বোঝা ।।
"সুন্দর ভাবে বলবে কথা ,
আছে 'কথা' -র প্রয়োজন ;
কে জানে '-কখন
কোন কথা, হয়ে যাবে মহাজন" ।।