মরুর বুকে মেঘের ডানায় ভেসে যায় সুরের বীণা,
হলুদে বরন কুসুম বালিকা খুজিয়া সুরের ঠিকানা।
কি মায়া তোর সুরে রাখালি? নীড়ে নাহি থাকে মন,
বংশি বীণায় রাখো মোরে সুরের ভেলায় সারাক্ষন।
পাখিরা বলে ওহে রাখালি! হারিয়েছি মোদের সুর,
তোমার সুরে পাগল বীণায় বালিকা হারিয়ে অদূর।
মরু তোমার সুরের ছোয়ায় ফোটায় তাহার ফুল,
পাখি তোমায় নাহি পেয়ে হারিয়েছে তাহার কূল।
কোথায় গেলে পাবো আমার হলদে পাখির দেখা?
সুরের ডানায় ভেসে বেরায় তাহারি রূপের শিখা।
গোধুলি বেলায় পাখির আশায় রাখালি বিষন্ন মনে,
সুর হয়ে আসবে সে'কি? রাখালির বংশি বীণে।
বছর পেরিয়ে তাহার আশায় সুর নাহি আর হাসে,
হলদে পাখি হারিয়ে সুরে একাকি গহিন দেশে।
পাখির মায়ায় পাহাড় ছেড়ে রাখালি তাহার খোজে।
সুরে তাহার ছন্দ ভাসে, অজানা গানে মিশে।
রাখালি ছোটে গানের তীরে পাখি তাহার সুরে,
সুর যে তাহার হারিয়ে যাবে খুজে নাহি পেলে তারে।
সুরে গানে একাকী তারা দাড়িয়ে দুই তীরে,
তবু দেখা নাহি মিলে জলধির দানব সুরে।
সাগর পেরিয়ে সুরের ভেলায় রাখালি ছুটে পাখির মায়ায়,
হঠাৎ ঝড়ে ছন্দ হারিয়ে, হারায় তাহার পাখিকে সেথায়।
সন্ধা মালতি রাতের আধারে হারিয়ে সুখের বেলা,
মালতি বলে ওহে রাখালি! বসে কেনো একেলা?
দূর আকাশে ভেসে ওঠা সন্ধা তাঁরাদের মেলায়,
খুজে বেরাই পাখিটারে, ওই তারাঁদের খেলায়।