মরুর বুকে আধার ভিড়ে ,
প্রভাত রবি নাহি ফিরে।
সন্ধা তারার বিষন্নতায়,
সকাল কবু নাহি নামায়।
আধার রাতে পাপের নেশায়,
ছিকল ভেঙে নরক মশাই।
মাতাল হয়ে মদের নেশায়,
পাপের বোঝা নাহি নামায়।
হঠাৎ করে!!
আধার শেষে সূর্য হাসে,
নূর নবীকে দেখতে আসে।
নূরের আলোয় সকাল নামে,
তাহার ঘ্রানে সবাই জমে।
ছোট্ট বালক হাসির সুরে,
আলোকিত করে মক্কা নূরে।
সুরের পাখি মিষ্টি মায়ায়,
আলোর দিশার বানি ছড়ায়।
বালক ছুটে পাহাড় চূড়ায়,
পাখির পালক তাহার ছায়ায়।
মেঘ ছুটে যায় তাহার মায়ায়,
বৃষ্টি নামায় তাহার চাওয়ায়।
ফুলের বাগান সুবাস ছড়ায়,
আধার কবু নাহি নামায়।
হঠাৎ বালক মায়ের মায়ায়,
এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায়।
কবু নাহি দেখা মিলে ,
বিষন্ন মনে নদীর কূলে।
হৃদয় তাহার কাধতে ব্যকুল,
সুবাস নাহি ছড়ায় বকুল।
সূর্য কাধে আধার ভিড়ে ,
পাখপাখালি নাহি উড়ে।
স্রোতের টানে উর্মি ভাসে,
আনমনা মন নাহি হাসে।
গাছগাছালি তাহার ছায়ায়,
শীতল হাওয়ায় তাকে মাতায়।
মৌ ছুটে যায় মধু ছেড়ে,
মিষ্টি মুখের মায়ার নীড়ে।
ছোট্ট বালক বনিক বেশে,
ঘুরে বেড়ায় দেশে বিদেশে।
পাদ্রি মশাই দেখে তাকে,
বিস্ময় চোখে তাকিয়ে থাকে।
পাদ্রি বলে ওহে বালক,
তুমি হবে বিশ্ব নলক।
তোমার দেখার প্রহর আশায়,
সার্থক জনম তোমার দেখায়।
বলক নবী ঘোড়ায় চড়ে,
অশ্ব কবু নাহি নড়ে।
বালক যখন সামনে বসে,
ঘোড়া ছুটে বেজায় হাসে।
সর্প আশায় তাহার দেখায়,
স্বপ্ন দেখে বনের গুহায়।
প্রজাপতি তাহার ঘ্রানে,
মধু ছেড়ে তাহার টানে।
ধরনি তাহার হৃদয় জুড়ে,
জড়িয়ে তাকে নাহি ছাড়ে।
বিশ্ব মাতে তাহার তালে,
দেখে তাকে অশ্রু জলে।