ইন্দ্র ছিলেন এক মন্দিরে স্তব করিতে,
প্রহরীরা ছিলো সেথা দ্বারের বাহিরেতে।
সহসা গিয়া সেথায় অগত্যা,
কাশীলাল করিলো প্রহরীদের হত্যা।
দ্বারের বাহিরে রাখা ছিল ইন্দ্রের সব অস্ত্র ,
কাশীলাল বুঝিলো ভিতরে ইন্দ্র আছেন নিরস্ত্র।
শান্ত ভাবে ইন্দ্র যেথা স্তব করিতে ছিলো,
তলোয়ার নিয়া কাশীলাল প্রবেশ করলো।
ভিতরে গিয়া কাশীলাল তলোয়ার হানিলে পরে,
ইন্দ্র সেথা বাঁচিয়া গেলো সুকৌশল তরে।
একটি কথা কাশীলালের ছিল অজানা,
ইন্দ্র হস্তে পরিয়া ছিলো বাঘনখখানা।
মূহুর্ত মধ্যে ইন্দ্র হইলেন আক্রমনে রত,
বাঘনখ দিয়া কাশীলালকে করিলেন আহত।
ইন্দ্রঃ এই স্থানে তোমাকে করিলাম না হত্যা,
ফিরিয়া যাও নিজ নগরে এখুনি অগত্যা।
ফিরিয়া যেতে পথে কাশীলাল মৃত্যুতে ঢলিলো,
কারণ ইন্দ্র বাঘনখে বিষ মিশাইয়া ছিলো।
দেবীর শত্রু দমনে ইন্দ্র করিলেন না ভুল,
দেবীর জন্য ডালা হইতে নিলেন গোলাপ ফুল।