রবিবার বদ্যিপাড়ার পাখীর হাটে গিয়ে,
জন্মদিনে দাদু দিলো সুন্দর এক টিয়ে।
দাদার পক্ষ থেকে হলো মোবাইল পাওয়া;
কাটা হল কেক, সাথে খাওয়া দাওয়া।                
সুপ্রভাতে উঠে দেখি সবার মুখ হাঁড়ি,
আমার প্রতি সবাই রাগ করেছে ভারি।
মা বলেন, কাল সারারাত ফোন করেছো তুমি;
পড়াশুনোর চেয়ে তোমার ফোন করাটা দামী!
বাবা হাঁকেন, পড়াশুনোতে আসে তোমার জ্বর,
গভীর রাত্রে ফোনের ভূত করে তোমায় ভর।
বলেন দাদু, কাল রাত্রে হয়েছিল বৃষ্টি,
বই ছেড়ে দাদুভাইয়ের ফোনে ছিল দৃষ্টি।
বলি আমি... ‘মিথ্যা মিথ্যা রাগ করছো তোমরা,
রাত্রে আমায় ধরেনি কোনও প্রেমের ভোমরা’।
সারারাত পড়ে পড়ে চোখ হয়েছে লাল,
তার সাথে অনেক পৃষ্ঠা অংক করেছি কাল।
বলেন দাদা, কাল রাত্রে পড়াশুনোর সাজে,
ফোনে কথা বলছিলে হঠাৎ মাঝে মাঝে।
বলে উঠি... ‘সদা আমি ধর্মের পথে চলি,
যুধিষ্ঠিরের মতো আমি সত্য কথা বলি’।
হঠাৎ এক তীক্ষ্ণ স্বর আসে কানে ধেয়ে,
সবাই দেখে জানালাতে খাঁচার দিকে চেয়ে;
শুনে সবার নজর বিস্ময়ে টলোমলো,
খাঁচায় থাকা টিয়া বলছে......
‘হ্যাঁলো রাঁধা হ্যাঁলো, কেঁমন আঁছো বঁলো।
হ্যাঁলো রাঁধা হ্যাঁলো,কেঁমন আঁছো বঁলো।’
             ___________