মেম সাহেবের কবরে রাত্রিবেলা,
ভগ্ন কফিন, বন্ধ ডালা ।
কফিনের ভিতরে শব্দ ঘট্ ঘট্,
করছে সেখানে কে ছট্ ফট্!
হিং টিং ছট্ ফট্, জেগে ওঠ চট্ পট্;
পাদ্রী পড়ে মন্ত্র, তাকিয়ে কট্ মট্।
‘হুপ হুপ ,উঙ্গা বুঙ্গা ,পিং পং, হিম ক্রিম
কফিনের ডালা খুল যা সিম্ সিম্’।
বহুক্ষণ ধরে চলে মন্ত্রের পালা,
খোলে না তবু কফিনের ডালা।
চিন্তিত লোকজন ভয়েতে খট্ মট্,
অস্থির পাদ্রী চুল ছেঁড়ে পট্ পট্।
‘ভূতটা ভয়ানক বিটকেল পাজি,
কফিন থেকে বেরোতে হচ্ছে না রাজি’।
শেষকালে হাতে নিয়ে কংকাল মালা
খুলে ফেলে পাদ্রী কফিনের ডালা।
ভীত হয়ে দেখে সবাই কফিনের পানে,
মানুষ রূপে ভূতটা ঘুমাচ্ছে সেখানে।
জেগে উঠে বলে সে, ভূত আমি নই,
পথের ভিখারি আমি......মানুষই হই।
চোর-ডাকাত, মশা, সাপের জ্বালা
কফিনে ঘুমাচ্ছি বন্ধ করে ডালা।
রেগে উঠে সবাই বলে, পাগল কারে কয়
ভূতে ঘাড় মটকাবে, নেই কোনও ভয়?
খিলখিল হেসে বিড়ি ধরানোর পরে
মানুষটি বলে ওঠে কৌতুক স্বরে,
‘ভূত, প্রেত, দত্যিতে কি বা পাবো ভয়,
মানুষের চেয়ে কেউ ভয়াবহ নয়’।
___________