রাত একটা,
ঢং ঢং ঢং ; গির্জার সতর্ক ধ্বনি শোনা যায়।
প্রেমপ্রকাশনী হাউস গেটে,
দারোয়ানটা ঘুমে মৃত প্রায়।
রক্ত স্মৃতির পদচারণা জাগে মনে;
‘রক্ত চাই...... রক্ত দাও’
হাসপাতাল গেটে এক বোতল রক্তের ভিক্ষায়
রক্তাশ্রু বৃথা ছিল।
শীতল ঘুমে রক্তশূন্যতায় অমর মারা যায়।

রাত দুটো,
ঢং ঢং ঢং ; গির্জার মর্ম ধ্বনি শোনা যায়।
মদনমোহন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের বন্ধ গেটে,
রক্তদান শিবিরের ছেঁড়া পোষ্টারের উপর ঘুমন্ত শিশুগুলি।
সর্বাঙ্গে মাখামাখি দোকানের বর্জিত মিষ্টি;
ফ্যাকাসে রক্তহীন চামড়ায়
লাল পিঁপড়ের মৃদু কামড় বসছিল।


রাত তিনটে,
ঢং ঢং ঢং ; গির্জার কাতর ধ্বনি বইছে।
গভীর জ্বরে ছেলেটি বই হাতে
ঘুমের মাদকতায় আচ্ছন্ন।
কাল রাতে পাড়ার রাস্তায়
কুৎসিত হায়নার মতো
কে যেন তার ঘাড় রক্তাক্ত করেছে।


রক্তাক্ত, বিকৃত এ সমাজ ঘৃণ্য।
রক্তের চেয়ে জলের দাম
এখানে নগণ্য ।
সংবাদের পাতায় পাতায়
প্রতিদিন শুধু হত্যা... রক্ত।
স্নিগ্ধ রাতেও নেই শান্তি,
এ জগৎ আমার জন্য নয়।
লোহিত কণিকার লাল রঙ
নিঃশ্বাস - প্রশ্বাসে জাগায় প্লবতা।
তাই.......চলে যাব সেখানে,
যেখানে নেই কোনও ক্ষিপ্ততা,
নেই অসুখ, নেই বর্বরতা।
শান্ত – শীতল যেখানে রাত-দিন,
আমার শান্তিস্থল
টুএণ্টী ফোর, কে-ডি-এম নং .........  কফিন।
          ___________