যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা অস্ত গেছে অনেকক্ষণ,
বিরোধী পক্ষের সেনারা হয়েছে পরাস্ত।
এখন বাতাসে শুধু পোড়া বারুদের গন্ধ,
মাটিতে বুলেটের খোলস; জঞ্জালের মত
কত শত ছড়িয়ে আছে।
ক্ষত-বিক্ষত শবগুলির সাথে,
কেউ দেখছেনা কবিতা হাতে
যুদ্ধরত সৈনিকটির স্তব্ধ ধূসর দেহখানি।
জীবিত? নাকি তার শেষ কবিতা এটি?
হাতে ধরা রক্তাক্ত চিঠি
যেন যুদ্ধের প্রতি ইস্তফাপত্র।
‘প্রিয়তমা, জীবনগীতি আজ ধ্বনিত রণসঙ্গীতে।
প্রেমপূজারীর শুভ্রবসন আজ সৈনিকের সাজে,
বন্দুকের মাঝে হারিয়েছে পত্র লেখার কলম।
তবুও ভুলিনি তোমায়।
তোমায় আমায় মিলে,
ঐ বটতলার ঝিলে
কেমন গান ধরতাম?
যুদ্ধ শেষে আসবো ফিরে
সেই ঝিলের তীরে।
ঝিলের মাছরাঙা, মাছের ঝাঁক,
সাদাবকের ডাক; কারুর জন্য নয়।
শুধু...... ’
এরপর স্তব্ধ হয়েছে কবির বানী,
নিজ রক্তে লেখা এ কবিতাখানি।
যুদ্ধের তপ্ত বাতাসে উড়ে যাচ্ছে চিঠিটি;
আর, উড়তে উড়তে উড়তে উড়তে,
একসময় পৌঁছে যাবে সেখানে
তার প্রিয়তমার হাতে,
যে হয়েছে নিহত যুদ্ধবোমার আঘাতে!
_______