পূর্ণিমা চন্দ্রতে বিষ কালরাতি,
       ব্রাহ্মণী নদীতীর হারাইবে সাথী ?
       বৃশ্চিক দংশনে দেবী জ্ঞানাহত,
       মর্মে আহত দেব, চিন্তায় রত।
       সহসা মনমাঝে কবিরাজি টান,
       শিমূলের পত্রে বিষ হ্রাসমান।
       উত্তম মিশ্রণে বৃক্ষের পত্র,
       দংশণস্থলে দিলে খানিক মাত্র।
       কিয়ৎক্ষণে বিষ গত হ্রাসমানে,
       দেবী চাহিলেন দেব আঁখি পানে।

ইন্দ্রঃ  ব্যথিত তুমি দেবী, আহত ছন্দ,
       তোমা জাগরণীতে মন আনন্দ ।

চন্দ্রঃ  বীর তুমি কবিরাজ,আপ্লুত মন,
       করিয়াছো রক্ষা প্রান হরণ।

       দেবী হতে পথের বর্ণনাবারে,
       দেব তাকে আনিলেন সুড়ঙ্গ দ্বারে ।
       হস্তেতে মশাল, মন বড় দ্বন্ধে,
       দেবীকে নিলেন দেব, তার বাম স্কন্ধে।
       সুড়ঙ্গে উড্ডীয় বাদুরের দল,
       ভূমিতে লক্ষিত মূষিকের চল।
       ফিসফিস শ্রবণিত নাগেদের শ্বাস,
       মশকের ধ্বনিতে মত্ত বাতাস।
       রাজনীতি নহে শিশুর কর্ম,
       সুমনেতে ধ্রব বীর রাজধর্ম।
       পৃষ্ঠেতে বহমান রাজ তলোয়ার,
       শত্রুর আগমনে করিবেন বার।
       ধীরে ধীরে সতর্কে আলোক-অন্ধকারে,
       দেবীকে আনিলেন দেব, প্রাসাদের ঘরে।
              _____________