অনেক জমানো কথা মনে সাজিয়ে এসেছিলাম, দাঁড়িয়েছিলাম তোর সামনে
বরাবরের মতই নির্বাক ছিলাম আমি, তোর চোখে চোখ রেখে, ভাষা হারিয়ে
হঠাৎ দেখি তোর উপর কালো মেঘের ঘনঘটা, বলতে চাইছিস তুই কিছু আমায়
আমি তোর হাত ধরে বলেছিলাম, "কি হয়েছে? বল তো! তোকে এমন কেনো দেখায়?"
আমার সাজানো কথা গুলো বলা হলনা আর, হারিয়ে গেলি আমায় বিচূর্ণ করে
হাতে দিয়ে গেলি একটি চিঠি, অল্প কিছু কথা, নীলরঙা এক ভেজা খামে ভরে
"এতদিন যা ছিলো সবই আমার মনের ভুল, ক্ষমা করে দিস, ভুলে যাস এই স্মৃতি"
এইটুকুই ছিলো চিঠিতে লেখা, আমাদের কল্পনার জগৎ আর আমাদের অমলার ইতি
এক মুহূর্তে তড়িৎ গতিতে সৃষ্টি হল বিশাল শূণ্যস্থান, হতভম্ব আমি হলাম একা
অবশেষরূপে ধীরে ধীরে হলাম ঘূর্ণিঝড়, বৃথা চেষ্টায় ভরতে যেয়ে সেই ফাঁকা
শুরু হল আমার অভিশপ্ত বেদুইন জীবন, একের পর এক জীবন কলুষিত করে
ভাগ্যদেবতার পরিহাসে, আবার হতভম্ব হলাম আমি সেই তোর সামনে এসে
তুই তো এখনো আছিস যেন প্রাণচঞ্চল শহরের উৎসবমুখর অসীম জনতা
এখনো কোমল, এখনো সজীব, অপূর্ব অপরুপ পরী আর কন্ঠে অনন্য মধুরতা
তোর চোখে চোখ রেখে নিমিষেই কেটে যায় হাজার আলোকবর্ষ, এখনো
তুই মুগ্ধ করিস, নিমিষেই সব বিষাদ দুর করে দিস, আলোয় ভরাস এখনো
তোর চিরসত্য হাসি, সে তো পুরোটা শহরের সমস্ত মানুষের জীবনীশক্তির মত
সে হাসির প্রতিধ্বনি আমাকে বাঁচিয়ে রাখে গভীর সমুদ্রের দলবদ্ধ প্রাণীর মত
তোর অশ্রুজল, বহুকাল তৃষিত ভ্রান্ত পথিকের তৃঞ্চা মেটানোর একমাত্র সুধা
তুই এগিয়ে চলিস 'কারা যর এল' এর মত, আবেগ লুকিয়ে ভেঙে চুরে সব বাধা
ভেবেছিলাম এবার ঠিক ধরবো তোকে, ভালোবাসায় ভরাবো আবার
তুই হয়তো চিনবি আমায়, অবশেষে নতুন করে বাধবো আমাদের সংসার
খোলশ ভেঙে, অসংখ্য দিবাস্বপ্ন নিয়ে আমি যেই ছুঁতে গিয়েছি তোর কায়া
তড়িৎ গতিতে ছিটকে মূর্ছাগত হয়েছি আমি, হৃদয় জুড়ে ছিল শুধু তোর ছায়া
জ্ঞান ফিরে এলে দেখি আমি হারিয়েছি মহাশূণ্যে, কামিনী দেবীর বক্ষে
দূর থেকেই দেখবো এখন তোকে, লক্ষ তারার ভীড়ে তোর অলক্ষে
পরবর্তী কবিতা : নিশাচর (http://www.bangla-kobita.com/benami531/post20141001083822/)