নীলাঃ দাদা তুমি হঠাৎ শ্মশানে কেন?
কানুঃ না মানে একটু ঘুরতে এসেছি।
নীলাঃ ঘুরতে এসেছ নাকি মরতে?
কানুঃ না রে নীলা মরতে নয়, বাঁচতে এসেছি।
জানিস নীলা? সংসারের কোলাহল আমাকে অতিষ্ট করে তুলেছে। বেশী করে অতিষ্ট হয়েছি বৈষম্যভেদ এর কারনে।
বলতো নীলা এই ধরাধামে সকলেই তো মানবরূপে জন্মেছে! তবে মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ কেন?
মানুষের মাঝে মানবীয় গুণাবলি দেখা যায় না কেন?
আর শোন নীলা এখন আর মানুষের মাঝে প্রেমপ্রীতি, মায়ামমতা তেমন দেখা যায় না।
তাই স্নেহ মায়ার অনুভূতিগুলোকে পোড়াতে এসেছি। মানবীয় দুর্বলতাকে শ্মশানভস্মে বিসর্জন দিতে এসেছি।
নীলাঃ বলো কি দাদা? তাহলে বাঁচবে কি করে?
কানুঃ গাঁয়ের অন্য লোকজন  যেভাবে বাঁচছে! হৃদয়হীন পাষন্ডের মত!
নীলাঃ আমার কি হবে দাদা?
কানুঃ কেন? বুকের মধ্যে অগ্নি হয়ে জ্বলতে পারবিনে?
নীলাঃ আচ্ছা দাদা একটা কথা বলবো?
কানুঃ বল
নীলাঃ অলকা দিদির সাথে তোর কিছু হয়েছে?
কানুঃ তার কথা বাদ দে বোন। তারা সুখের পায়রা, আমাকে নিয়ে ভাবার তার সময় নেই বোন।

ভালোবেসে পাইনা যারে
আপন বলা যায় কি বল?
আপন বলে বুকের তলে
যায় কি রাখা বিষাদ ফল?