এক পথিককে জিজ্ঞেস করি
এই বাড়িটা কার?
বাড়িটা বেশ দেখতে লাগে
দারুণ চমৎকার!
বললো পথিক এই বাড়িটার
মালিক ছিলো যে,
সে মানুষটি অনেক আগেই
পটল তুলেছে।
অথচ তার নামটি আজও
স্মরণ হলে হায়!
কাঁটার মতো চিমটি কাটে
দুখির কলিজায়।
কাজের বুয়া করিমনের
ভাগ্যে ছিল দুখ,
তাই করিমন এই বাড়িতেই
খুঁজেছিলো সুখ।
সুখের দেখা পাইনি কিন্তু
সুখ বিলাতো রোজ,
সুখ তারাটি নিষ্প্রভিলে
করতো এসে খোঁজ।
সুখের কোণে দুঃখ বুনে
যেতেন জমিদার,
ইচ্ছে মতো করিমনের
দেহের চারিধার।
চষতো এসে লজ্জা নেশে
এই সে জমিদার,
বাড়িটি যার আনন্য আর
দেখতে চমৎকার!
হঠাৎ একদিন খবর এল
করিমন আর নাই,
জমিদারের মান বাঁচাতে
বিষের বড়ি খাই।
মরেছে সেই অভাগিনী
সঙ্গে লয়ে দুখ,
অঙ্গে লয়ে জমিদারের
সুখের সওদাটুক।
বাড়ির গল্প অল্প বলেই
করল পথিক শেষ,
এমন গল্পে পূর্ণ আজও
সোনার বাংলাদেশ।