এত ব্যথা,রাখিবে কোথায়,সহিবে কেমন করে
সোনার সংস্বার রাখিয়া শামছুন নাহার গিয়াছে ছেরে
চার খানা সোনা মুখ,স্বামী সংস্বার ছারিয়া
নির্জনে চির নিদ্রায় রহিয়াছে ঘুমাইয়া
সকালে বিকালে কাঁদিয়া ছেলে,দেখিতে যায় কবর
জরাইয়া মাটি খানা বলে মা একটু করে দাও আদর
যে শুনে সেই কাঁদে অবুঝ শিশুর কান্নার আওয়াজ
তর মায়ের জন্য দোয়া কর ভাতিজা পড়িয়া নামাজ।
সমস্ত কায়ায় ব্যাধি জর্জরিত হৃদয়
দীর্ঘ ছুটিতে বাড়িতে হেলাল,বিশ্রাম যদি হয়
সেবা নিতে আসিল যার,তাকে ই দিল সেবিয়া
এ দুঃখ ফুরাইবে কেমনে, কার কাছে কহিয়া
হাউ মাউ করে কাঁদিয়া হেলাল হয় জ্ঞ্যান হারা
প্রিয়তমা স্ত্রীর শোকে বাঁচিয়া আছে হয়ে আধমরা
হে দয়াময় রাহমানির রাহিম,বলি তোমার কাছে
ক্ষমা করে দাও শামছুন নাহারের গুনা যত আছে।
ব্যথীত আমি ব্যথীত গ্রামবাসী,ব্যথীত বাড়ির সবায়
আকাশ ভারী শামছুন নাহারের বিদায়ের কান্নায়
চোখের জ্বলে বুক ভাসাইয়া,সাজাইয়া পরিপাটি
কত ব্যথা বুকে নিয়া হেলাল দিয়াছে স্ত্রীকে মাটি
প্রিয়জন হারাবার ভীষন ব্যথা, ভাষা নেই বলিবার
কষ্ট দিয়েছ প্রভু ক্ষমতাও দিও হেলাল কে সহিবার
সকলে মিলিয়া দুয়া করি তুলিয়া দুইহাত
হে দয়াময় শামছুন নাহার কে দিও জান্নাত