অবশেষে তার দেয়া বেলী ফুল দু’টো
হাত পেতে নিতেই যেন
অ-নে-ক দিন পর পুনরায় টের পেলাম
আমার নিজের অস্তিত্ব..
সে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল
ফুল আমার পছন্দ কিনা
আমি ফুলকে ভালোবাসি কিনা;
হায়! কেউ কি কখনও জানবে না?
বুঝবে না? ফুল আর হৃদয়ের মাঝে কতো মিল!
কবিদের তীর্থ তো হৃদয়-ই, না-কি?
আর যদি কেউ ফুল দিয়ে তাকে অর্ঘ্য দিতে চায়
তবে কি তাতে কখনও বাধা দেয়
বেদীর ঐ প্রতিক্ষীত ঈশ্বর?!
আমার ঈশ্বর-কে আমি জানি,
মাঝে মাঝে আবার তাকে চিনিও না;
আমার ঈশ্বর তাই অনেক দিন পর
তার অর্ঘ্য পেতেই...
এক বিউগল সিম্ফনীতে যেন
কেমন ওলট¬-পালট হয়ে গেল।
সে আমাকে বলেছিল
যত বেশি হাসা যায়
তত নাকি ভুলা যায় দু:খ!
হায় সতীর্থ নারী-
হাসির প্রহসনে কেন ডুবাও
গভীর সমুদ্রে নিজের অস্তিত্ব ॥
আমার একটা স্বপ্ন ছিল- ভীষণ স্বপ্ন
একটা দ্বীপ থাকবে নিজের, সমুদ্রের মাঝে;
মাঝে মধ্যে যে দ্বীপে আমি দ্বীপান্তর হবো
নদী ধরে সমুদ্র- সমুদ্র পাড়ি দিয়ে
আরো দূরে কোথাও!
কিন্তু আজ আমি সমুদ্রকে ভয় পাই;
তুমি কি জান? সমুদ্রের বিশালতাকে
স্পর্শ করার সাহস আজ আর নেই আমার।
তাই অবিরত হৃদয়ের নদী তরঙ্গে বয়
আর সমুদ্রের খোঁজে- একটা দ্বীপের জন্যে
নিরবধি হৃদয়ে ক্ষরণ হয়।
কি এমন ক্ষতি হতো বল?
ঈশ্বরের তো আর দ্বীপের অভাব নেই
যদি আমার একটা দ্বীপ থাকতো; আমি পেতাম-
অন্তত হলেও হতো একটা স্বপ্নতো পূরণ,
অন্তত নিজের তো একটা ঠিকানা থাকতো;
অন্তত তখন হৃদয়ের সব দু:খ-কষ্টকে
অহরহ নির্বাসন দিতাম, ইচ্ছে মতন ॥