জীবন্মৃত মনে হয় অন্ধকারে শরীরের ভার
চোখ যায় দৃষ্টি বিঁধে এপার-ওপার
নিজেকে প্রতীক ভাবিনি কখনও সুর্যেরও আড়ালে
মৃত্যু পরেও শব ঝুলে শিংশপার ডালে
দুঃখ এসে হৃদয় ক্ষত করে বারংবার
তবুও অবুঝ মন বাঁধে সোনার সংসার
ভেবেছিল অমর্ত্যের আমাকে আমার যেই জন
পৃথিবী সাক্ষী; অন্তরীক্ষে ঘর বেঁধেছে সে এখন
বেঁচে আছে প্রতীক্ষা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে এখানে
অন্ধকার না চিনুক আলো আকাশ সবটা জানে
বান ভেঙেছে ঘর গোয়াল ভেঙেছে শীতে
মানুষের দোষ আর ধরা যায় না এমনিতে
নদী তীরে কাশফুল অদূরে গোয়াল পাড়া
পৃথিবী ঘুরছে আনমনা হলেই দৃশ্য হাতছাড়া
অবিশ্বাস ধরেছে ছদ্মবেশ পোশাকে আতঙ্ক সক্কলে
গাঁ গঞ্জ অন্ধকার; কুপিও না শুধু জোনাক জ্বলে।
অনুসরণের মুখ নেই। প্রহর হারানো অষ্টজাম।
সূর্যালোকে জলাল্পনায় তাকিয়ে মূল্যবান মুহূর্ত হারালাম।