অদ্ভুত একটা অনুভূতি সমস্ত শরীর বেয়ে
নেমে আসে তরঙ্গ জন্ম নেয় সাতাশ নক্ষত্র
লোকচক্ষু থেকে বহুদূর গাঢ় অন্ধকারের বুকে
স্পষ্ট শুনতে পাই প্রবল বৃষ্টির শব্দ
চিনে নিতে পারি সহজেই প্রথম দ্বিধা প্রথম ছোঁয়া
অনেক কথা ভেসে আসে ভুরুর বাঁকে
চোরা চাউনি ছুঁয়ে মিশে যায় একে একে
বৃষ্টি যেমন মেশে মাটির তপ্ত বুকে দুঃখ ও সুখে
আমি অপার্থিব নির্জনতা আঁকড়ে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনি অসম্ভব দূরত্ব চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায়
কখনো কখনো পূর্ণিমা চাঁদ ঢাকা পড়ে বাদুড়ের ডানায়
তোমার স্পর্শ আমার শরীরের স্পর্ধা এনে দেয়
ক্ষুরের মতো তীক্ষ্ণ ঘ্রাণ ছড়িয়ে দেয় বৃষ্টি
শতাব্দীর বুকে
বৈশাখের দুপুর গন্ধ নিথর আলোয়
আজান আদায়ে বসে
গুচ্ছ গুচ্ছ অভিমান ভিজিয়ে দেয় সর্বাঙ্গ
বৃষ্টি আমার চোখ খুলে দেয়---