গাছ বেড়ে ওঠে মাটি জল হাওয়ার প্রতিভায়
পরিশ্রমী শরীরে যজ্ঞের সমস্ত ক্ষত
হাঁপিয়ে জ্বলতে জানে তারার মতো
মুঠোয় ভরে গোটা বিশ্বভুবন নির্মল চাওয়ায়।
ঠোঁটে কথার নিশ্চুপ। কণ্ঠস্বরে শব্দের স্বাধীনতা
ভরেছে ধানের শীষ, আঙুলে স্পর্শের নীরবতা
শিকড়ে শিকড়ে বীজময় জীবন এক সচ্ছল কবিতা।
বলেছ, বিলিয়ে দিলে পরাণ গানের মতো
জীবনের কাঁটাঝোপে থাকবে না আর ক্ষত
দিগন্ত অবধি
ঘোর-লাগা মৃত্যুরোগ । তবু নিরণ্ণ হেঁশেল ধুয়ে
অরণ্যময় শব্দের নিস্তব্ধতায়, বুকের হাড় পাঁজর ছুঁয়ে
প্রকৃতির যত আলো যত অন্ধকার সবটুকু নিয়ে থুয়ে
বেঁচে থাকার আনন্দে দীর্ঘায়ু জীবন। মৃত্যুও নিরাময়।
সমুদ্রের বক্ষস্থল চিরে
এনেছ অসংখ্য শঙ্খধ্বনি মানুষের ভিড়ে পৃথিবীর পান্থশালায়
মুখ থুবড়ে থাকা শব্দের ঝাপট নির্ভয়ে তুলে ঝোড়ো হাওয়ায়
শরীর মেঘের সমস্ত আর্তনাদে ঢেকে বিজ্ঞাপনের আড়ালে
দিয়েছ এক আকাশময় বৃষ্টি। বর্ণময় সৃষ্টি। চেতনার চাতালে।
বলেছ, চুপ থাকা ভালো। শব্দের নিস্তব্ধ ঝনৎকার শুনে একদিন পাথরও টলবে
যেদিন মানুষ বেঁধে বেঁধে অভাবের উনুনে ভাত রেঁধে প্রতিবাদের কথা বলবে ।
বিকাশ দাস