ওরা সূর্য ডুবলে ঘর সাজিয়ে দরজা খুলে থাকে দাঁড়িয়ে
ওরা শরীর জড়ায় ঝলসে কাপড়ে শরীরের আঁচ বাড়িয়ে
ওরা ঘুমোয় কম চোখের মজ্জায়
অনিচ্ছার সম্ভোগ কাটে শয্যায়
নগদ গুনে হাতে ।
ওরা দিনের গোচরে বেশি কালো রাতের অন্ধকারে ফর্সা
ওরা বাস্তব রোজ রাতের ফুল শয্যা চাদরে তৃপ্তির বর্ষা
সাজের গয়নায় রমণী সুন্দরী বেশ্যা
ওরা পায় কম খোয়ায় বেশি ।
ওরা নিজের প্রাণের দেরাজে ওরা নিজের মনের দেরাজে
নিজের আসল শরীর লুকিয়ে
এঁটো না হয় জেনে নিজের পুতুল শরীর কষ্ট যন্ত্রণার ভাঁজে
পুরুষের প্রবৃত্তির কাম ভুলিয়ে
বেলোয়ারি কাঁচের রমণী সুন্দরী বেশ্যা
ওরা সতী কম রমণী বেশি ।
ওরা পরের ঘর পুড়িয়ে নিজের ঘর বাঁধতে জানে না
ওরা পুরুষের ঘর বাঁধলে সমাজের বাসিন্দা মানে না
নিষিদ্ধ সন্ধ্যায় রমণী সুন্দরী বেশ্যা
ওরা ঘরণী কম রমণী বেশি ।
ওরা পায়ের পাতায় আলতা পড়ে মেয়েদের মতো ব্রত কথা পড়ে
ওরা স্নান সেরে পুজো আর্চা করে ঘরের দিনপঞ্জিকার পাতা ধরে
মানুষী সভ্যতায় রমণী সুন্দরী বেশ্যা
ওরা মাটি কম নোংরা বেশি ।
ওরা পেটের তাগিদে পেট খোলা রাখে শরীর ভেঙে খায়
ওরা নিরুপায় ‘ নিহতাঃ পূর্বমেব’ মর্মের স্রোতে তলিয়ে যায়
সময়ের বাগিচায় রমণী সুন্দরী বেশ্যা
ওরা দূর্বা কম ঘাস বেশি ।
ওরা
আজও কলঙ্কিত
আমাদেরই চরিত্রের কলঙ্কে ।
(নিহতাঃ পূর্বমেব – আগে থেকেই আমরা সব মরে আছি)
বিকাশ দাস / মুম্বাই