দিন দিন নোংরা আলো পড়ে সূর্যটার গায়ে কালসিটে যতো যাচ্ছে ধরে
পাথর কাটা ঝরণার জলে নিতে হবে ধুয়ে আজ তোমাকে পরিষ্কার করে
আবার সাজিয়ে রাখতে হবে যেমন ছিলো আগে শুভ্রতার
স্বচ্ছ আলোর মসলিন তন্তুরে তন্তুরে ।
আকাশের চতুর্দোলায় চাঁদের নীল ওড়নায় প্রতিদিনের ধুলো পড়ে
দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের আবর্তে নিশীথনগর ঝাপসা করে ।
তোমাকে আমাকে সঙ্গ বেঁধে কোমরে লজ্জা গুঁজে
বনিতার ভেতর ভেতর কলঙ্কের সব দাগ মুছে
করতে হবে রাত্রির শস্যশরীর আগের মতো বর্ণময় ।
বাতাস ঘুমিয়ে আজ অঘোরে তার সমস্ত শরীর ছড়িয়ে
আকাশ ছোঁয়া পাহাড়ি পাথরের অরণ্যের আদর জড়িয়ে ।
চড়া রোদ্দুরে গাছ গাছালির পাতাল ছায়ার দিগন্তময়
রাখতে হবে বাতাস জাগিয়ে শিকড়ে শিকড়ে প্রানবন্তময় ।
সাতপাঁচ কথার ভীড়ে
তোমার আমার নীড়ে
এই পৃথিবীর ভুবনপাড়া যুগের কাছে যুগ যুগ ধরে আজও বন্ধকে মোড়া
যদিও
সকলে এই ধারা পেয়ে এসেছি উত্তরাধিকারীর ঘোরলাগা সুত্রে জোড়া ।
যার অনেকটা সম্পর্কের আঘাতে কার চুপির অতলে;
যার অনেকটা বরাতের জোরে ভাগ্য রেখার সুফলে;
যার অনেকটা আজ অযাচিত অতি পুরাতন অনবীন
করতে হবে
সময়ের ঠিক মুহুর্তে মেরামত সারাই যা প্রয়োজন ।
সম্পর্কের পোশাক গায়ে জড়ালে একদিন নোংরা হবে
নিজের দু হাতে প্রয়োজনে পরিষ্কারও করে নিতে হবে ।
সম্পর্কের ক্ষত জমে থাকা হাড়ে
মর্যাদার গর্ভ শরীরের ঝোপঝাড়ে ।
মাটির কলস বসানো যেমন বীড়ায়
প্রেমের বিশল্যতা প্রেমের পীড়ায় ।
বিকাশ দাস
মুম্বাই
৩১/১২/২০১৫