সূর্য ডোবা পাথর ঘস্টানো অপূর্ব বৃষ্টি সন্ধ্যা
সূলাবণী ফুলদানিতে এক গুচ্ছ মুগ্ধ রজনী গন্ধা।
ধবধবে সাদা মোমবাতি শ্বেতপাথরের আতস দানে
খুব যত্নে জ্বেলে দিলে নিজের হাতে আর্জির টানে।
অন্ধকার ঘর রইলো না আর অন্ধকারে
খুলে দিলে পায়ের নূপুর হাতের বালা জোড়া
এই ভেবে কারোর ঘুম না জাগে ঝনতকারে ।
তোমার সব দৃষ্টি সব শ্রুতি বুকের ভেতর মোড়া।
রয়েসয়ে কথাবলার সলীল সুরের মতো গানে
সসম্ভ্রমে মসলিন চাদর বিছিয়ে দাওয়ায়
অবোধ বন্ধুতার আদুল ঘাতক সহজযানে।
হলুদ কোটা আলোর আঁচের উষ্ণতার বেড়ায়,
গন্ধের আদ্র বৃষ্টি মুদ্রার আকাশের ঘেরায়,
আমাকে ডেকে নিলে জলদাগাম লহমায়;
সবার আড়ালে তোমার জাগরী নিঃশ্বাসের গভীরে।
খরা মাটির...
নদীর ভেতর থেকে জলের শীতলতা উঠে আসে
আবার নদীর ভেতর ভেতর সমুদ্র অভিমানে ভাসে।
উপলবাধা..
শিশির ভেজা শালীন ঘাসের উপর দিয়ে
তোমার আদুল হাত আমার হাতে নিয়ে
উদ্যত প্রণয় তোমার তাপের স্রোতে
আজ ও চলেছে তোমার লাবণ্যের অভিসারে
রোজকার মতো সূর্যোদয় সুর্য্যাস্ত পারে
তোমার নিঃশ্বাসের ভিটেমাটির পান্থশালায়,
বরণ করে
মাটির ঢল আকাশের ঢল মেঘের ঢল
বৃষ্টির ঢল রোদ্দুর ছায়ার ঢল আলোর ঢল
ঝুলপড়া নিঃসঙ্গ প্রান্তরে এক দুজনের শরীর আঁকড়ে
নতুন চোখে পুরোনো স্বপ্ন ধরে।
বিকাশ দাস
মুম্বাই / ২৫/১২।২০১৫