কেউ শীঘ্র এসে দ্রুত চলে যায় আর কেউ একটু থেমে যায়।
শেষ পর্যন্ত সবাইকে ফিরতে হয় নিজের ঘরের চালের ভেতর
বারোয়ারি দঙ্গল ছেড়ে।
তোমাকেও আজকের চলাচলের আতুড়ে
তোমার সাধের চলাচল খুঁজে নিতে হবে জমিনে জমিন ধরে
যেমন মাটি থাকে মাটি আঁকড়ে সুতোটানা কাপড়ে।
যুগ যুগ ধরে পুর্বপুরুষরা বলে এসেছেন সৃষ্টির দরজায়
অতীত অতিথি হয়ে থাক বৈঠক খানায় শুভ মর্যাদায়
ঝকঝকে দামী কাঠের ফ্রেমে পেরেক গাঁথা অসহায়
সুগন্ধিত পুষ্প মাল্যে ধুপধুনোর ধূলোয় প্রাতঃস্বরণীয় ।
যদিও
বর্তমানের দোলায় বাতাস, ঘাস, পাথর, আলো অন্ধকার
ভবিষ্যতের ইবাদত খানা সুজলা সুফলা ইলাহি তোরণ দ্বার,
প্রতিদিনের সুখ দুঃখের প্রতিবিম্ব নিয়তির ঘাড়ে একাকার।
তবু
যে দিকে চোখ রাখা যতো বারণ
সে দিকে পা হাঁটে ততো অকারণ
সেই ভুলের মাশুল দিতে হয় জীবনের ভেতর ভেতর,
এসে রংবাহারি আলেয়ার জৌলুশের প্রবল আঁচের পাড়ে
শেষ সম্বল টুকুর নিবারণ হারায় যাওয়া আসার আড়ে।
তখন
আরশির সামনে মুখ রাখলে আর
দেখা যায় না আমার শেষ অলংকার
কুশল টানা দু হাতের নির্ভরতায়
ঘরের মধ্যে ঘর আমার মধ্যে সংসার।
বিকাশ দাস
মুম্বাই
২৮/১১/২০১৫