(৩৪)
এখনো তুমি খুদা আকাশে মুখ লুকিয়ে
এসো মানুষের রক্ত জিনে
এখানে সততা বিকিয়ে যায়
জলের দামে দিনে দিনে।
(৩৫)
এখনো ধরে আছি যত উষ্ণ বালি আমার হাতে
কোন ঢেউ এসে ফিরেছিলো আকুল পারা
কোন কোলাহলে পড়েছিলো তোমার সাড়া
অবাধ নিঃশব্দতায় জলের বেড়ি তোমার হাতে ।
(৩৬)
যেতে যেতে পড়িয়ে দিলি, আমার পায়ে তোর ফুলের বেড়ি
ভালোবেসে না হয় বলেছি, কাল হবে আমার আসতে দেরী।
(৩৭)
ঘর লাগোয়া তোমার সরোবরে
তুমি সারলে স্নান খুব করে
পারে এসে বাঁধলে তোমার চুলের গোছা
দু হাত তোমার লজ্জায় ধরে।
দুচোখ আমার জানালায়
নিয়ে আবোল তাবোল ভাবনায়
নিঃসংকোচে আমার গা ভেজায়
সম্প্রীতির দেখার ফেনায়
আমিও অগোচরে নিজের মত করে।
(৩৮)
মনখারাপের দিন গুলো ভরো না শরাবের বর্ষায়
মেঘের কাছে বৃষ্টি আছে জেনে মরো না ইর্ষায়।
(৩৯)
ফুল সুন্দরতম জখম
ফুল আরামতম মলম
(৪০)
ঘুম ছিল আমার জড়িয়ে স্বপ্ন তোমার
শরীর ছিল আমার জড়িয়ে কষ্ট তোমার ।
(৪১)
যা হারিয়েছি যা পেয়েছি নিয়েছি আবার খুঁজে
যে গিয়েছে যে ফিরেছে করেছি গ্রহন আবার বুঝে ।
(৪২)
কোন বাধায় ছিলো বাঁধা তোমার দু হাত
গোটা দিন গোটা সন্ধ্যা নিয়ে বিবাদ ।
কোন বন্ধুর সখ্যতা তোমায় দিয়েছিলো আঘাত,
কোন রোদের আকাশ দিয়েছিলো পোড়া ছায়া,
কোন চাঁদ দিয়েছিলো দাঁত কাঁটা আলোর মায়া
ঠেকায় পড়ে বেলুন ফোলানো উৎসবী রাত্রি।
(৪৩)
শুকনো ফুলের গন্ধে তখন ও হৃদয় ভরে ছিলো
তোমার দু হাতের আদর আমার হাতে লেগেছিলো
মনখারাপের দিন গুলো অবাধে মনে পড় ছিলো
আর নতুন করে তোমার সঙ্গো ভালো লাগছিলো।
(৪৪)
আমি কাঁচা মাটি জানি তোমার হাতে
তুমি আমায় খেলার পুতল বানাও
যেমন খুশি তোমার ইচ্ছের অজুহাতে ।
(৪৫)
কোন মায়ায় বাঁধলে আমায়
চোখের পাতা আমার সরে না
কোন হাওয়ার ঝনত্কারে
ঘুমের পলক আমার নড়ে না।
(৪৬)
চোখের মধ্যে ছিলো, বুকের ভেতর হাতড়ে দেখলে না তুমি।
নদীর মধ্যে ছিলো, সাগরের বালি হাতে নিয়ে দেখলে না তুমি
(৪৭)
রেখেছি বাঁচার আয়োজন গুছিয়ে
রেখেছি মরনের প্রয়োজন লুকিয়ে
তোমার নজর লেগেছে
জেনেছি নজরের ব্যাকরণ
ভালবাসার গভীরে দুচোখ ডুবিয়ে।
(৪৮)
আমি নিজের কাছে নিজের হয়ে সব দিন গুছিয়ে থাকি
নিজের অশ্রু জলে নিজের কান্নায় চিবুক ভিজিয়ে রাখি
সব সাকো পার করে এসেছিলো নদী সাগরে
এখন দুচোখ আমার সরিয়ে রাখি
(৪৯)
আবার আমায় মাটি করো
তোমার ইচ্ছে মত গড়ো
আমার দোষ ভুল ক্ষমা করো
তোমার ভালবাসার ছোবলে
আবার আমায় পাগল করো
(৫০)
যদি মরণ ঘুমায় মরণের কোলে এসে
বন্ধু কাটাবি জীবন কি ভালো বেসে
কোন পাখি পারে আকাশ ফিরিয়ে দিতে
কোন জান পারে বাতাস ফিরিয়ে দিতে
(৫১)
তুমি আসবে ফিরে আছে আমার জানা
এখানে শুকনো মাটির জমিনে
যখন রোদের কাঁচে ছিড়বে পাখির ডানা
মেঘের মুখর ঝড় বৃষ্টির গহিনে।
(৫২)
আমি অকারণে কষ্ট পাই, বৃথায় কারণ খুঁজে যাই
ভাঙ্গতে পারে কাঁচের হৃদয় বাড়িয়ে দিলে আঙুল
বলে হীরের আংটি চায়।
(৫৩)
ফুল ফোটে হাজার জখম লুকিয়ে বুকে
দোহাই তোমার আমায় ভুল বোঝো না
আঁধার গলে শিশির জলে ভোরের বুকে
দোহাই তোমার আমার ভুল ধরো না।
(৫৪)
যেতে যেতে ছেড়ে দিলে কখন যে আমার হাত
এখন তোমার ভাবনায় কাটে আমার দিন রাত
তোমার ভাবনার সুতোয় শুকনো ফুলের গন্ধ
এখনো লেগে আছে নিয়ে আমার সকল হাত
(৫৫)
না মরতে চেয়েছি
না বাঁচতে চেয়েছি
শুধু তোমার কাছে
একটু প্রেম চেয়েছি
(৫৬)
চোখের মধ্যে ছিলো, বুকের ভেতর হাতড়ে দেখলে না তুমি।
নদীর মধ্যে ছিলো, সাগরের বালি হাতে নিয়ে দেখলে না তুমি
(৫৭)
তোমার ভেতর তুমি থাক, আমার ভেতর আমি থাকি
দুজনের ভেতর একি হৃদয়, সরব দোলার দোলায় থাকি
নিয়ে শরীর দুজনের মাখা মাখি
(৫৮)
আমার মাটি তোমার আকাশ
এক দুজনের চোখে ভুলিয়ে রাখি।
আমার বৃষ্টি তোমার বাতাস
এক দুজনের বুকে ডুবিয়ে মাখি।
(৫৯)
আমি অন্ধকার হাতড়ে খুঁজে নিলাম
নিঃশব্দতার আলোর বাতি
আমি ফুলের কাঁটা তারে খুঁজে নিলাম
সহজ সুখের হাজার সাথী ।
(৬০)
আজ মেঘের বর্ষা হোক
কাল রোদ্দুরে শরীর ভেজাবো
পদ্ম পাতার শয্যা হোক
কাল তৃষ্ণায় ঠোঁট ভেজাবো
সরোবরের প্রেম সফল হোক ।
(৬১)
এমন কিছু স্বপ্ন থাকুক আমার ঘুমের দোলে
সঙ্গে জাগে সব পৃথিবী আমার চোখের কোল...
(৬২)
হৃদয়ে জখম লাগিয়ে জানি বসন্ত চলে যায় নীরবে
শুধু কিছু স্মৃতির মেঘ বৃষ্টি যায় কেঁদে নীরবে ।
(৬৩)
আমার চোখের পানি আমায় দিয়েছে প্রেম অনেক খানি
তোমার খেয়াল তোমার কষ্ট যদিও রেখেছি করে রানী ।
(৬৪)
আমার কবিতা আমার নিজের কথা জানি
কবিরা পড়েন না বানানো কথা বলে
পথিক জেনে দিয়েছেন তৃষ্ণার মুখে পানি
টুকে রাখেন আগামী দিনে লিখবেন বলে ।
বিকাশ দাস
মুম্বাই