নজর-কাড়া রূপসী বাংলার রূপ অপরূপ
স্নিগ্ধ-ধারা প্রকৃতির শুদ্ধতা শুশ্রুষাস্বরূপ।
জলের মতো সহজাত অনুভূতি
আকাশ মাটির প্রতীতির আকুতি
স্বচ্ছ-পরিষ্কার। আপাদমস্তক নিজস্ব ভাষা মানবতার
মুকুটবিহীন রাজাধিরাজ। অজর, অক্ষর সারল্যতার।
প্রতিটি চোখের দৃষ্টি
প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি,
যার কলমের ধার বলেছে বারবার
‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর...’
হৃদয় অসীম ভালোবাসায়
বিরহ নিবিড় ভালোবাসায়
আটপৌরে জীবনযাপন। একলা চলা
নির্জনে নিজের সাথে বসে কথা বলা,
ক্লান্তির ধুলায় কাতর বুকের স্পন্দন বলছে যেন
‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন'।
বেঁচে থাকার উচ্ছ্বাস
জীবন দেখার অভিলাষ
বিষণ্ণ বিষাদ বিষে নীলকণ্ঠ কবি আরও বেশি সংবেদনশীল।
‘অপরাজিতার মতো নীল হয়ে- আরো নীল-আরো নীল
হয়ে আমি যে দেখিতে চাই;- সে আকাশ’ আরো কত সুনীল।
কবির কলম অনুভূতিশীল জীবনদৃষ্টি দেখার প্রবণতায়
সাত রঙের বর্ণচ্ছটায় আঁকতে পারে শব্দের প্রতিভায়
কল্পনার অন্তরায় এক আকাশ ছন্দময় সমস্ত আলোর রেনু
‘সূর্যের চুম্বনে...এখানে জ্বলে’ উঠবে অপরূপ ইন্দ্রধনু’ ।
নিঃসঙ্গ বিষন্নতার লাশ কাটা ঘরে
কবির নিশ্চুপ শুয়ে থাকা চিত করে
নিষ্কলঙ্ক দুচোখ দেখেছে পাপঘ্ন বিষাদ
কী করে এক মানুষ আর এক মানুষের জন্য
ফাঁদতে পারে যন্ত্রণার নির্মম ফাঁদ।
তাই কবির মানবিক মেজাজ কাব্যময় মাধুর্য শব্দের নিনাদ
কেন বলেছিল
‘কাল রাতে-------- ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হলো তার সাধ।'
যার কবিতায় লেগে আছে শুধুই শব্দের মুগ্ধতা।
বক্ষ বিভোর। মঙ্গলময় নিত্য নবান্নের সাঁজভোর।
আবার ফিরে আসার আকুলতায় আনচান হৃদয়
যদি মৃত্যুর কোন একদিন পুনর্জন্ম বলে কিছু হয়
'আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে-- এই বাংলায়