বইতে দাও
চতুর্দশীর অন্ধকারে বেপরোয়া হাওয়া
ভুলে যাও নিভৃতে নারীর স্পর্শে দিনমান
জেগে ওঠা নিরিবিলি উঠান আনন্দ বিহান ।
পাথরে রেখে হাত শোনো জলের গান
কালকের প্রেম ঝাপসা বিরহ বিক্ষত টান
তোমার তৃপ্তি উজার শেষে ভালোবেসে নারী
জলের তরলে খান খান
বন অরণ্যের গাছ গাছালির পড়ে থাকা পাতা
হাতে নিয়ে দেখো;
কত অশ্রু জল রক্তের প্রপাত শিরায় শিরায়
হৃদয়ের স্পন্দন
বজ্রকে আঁকড়ে শরীরের কোমলতায় যে নারী তোমায় ভালোবেসে
একটু ঘরের বাইরে এসে দেখো ;
খোলা আকাশের নিচে
হাজার সূর্য পুড়ে ছাইমাখা গহীন রাত
নারীর বেশে অন্ধকার শরীরে করেছিলো উষ্ণপাত
অনুভবের নির্জন গর্ভে মিথুন অভিলাষার বীর্যপাত
সময় নিরাময় ভাস্বর ।
আজও নারী বর্ণময়ী অবর্ণনীয়
সূর্য্যের গমকে জলের চমকে রোমাঞ্চকর
আলো অন্ধকারে ঘরে বাইরে দেহমনে জ্বলে কাঞ্চনতর ।
বিকাশ দাস / মুম্বাই