চন্দ্রিমা
তুমি ও সুখে
আমিও সুখে
জানিয়ে রাখা ভালো তোমার ভালোবাসা
পাথরের পাষাণে  সোহাগের আসনপাতা  
কাঁসার বাসনে ফুলের অমুল্য সুবাস
ভোরের শিশিরে লজ্জানত শীতল দুটি হাত
মন্ত্রের পবিত্রতার অক্ষরে অক্ষরে বেঁচে থাকার সমস্ত প্রপাত
শীতের দুপুরে নিখাদ রোদ্দুর ভালোথাকা সুখ শান্তির ছলাৎ ।
ঘরদোর উঠোন চৌকাঠ লক্ষ্মীর দু’চোখ সচ্ছলতায়  
ফুলের গন্ধ বসন্তবিহীন বনান্ত  নির্ভেজাল  হাওয়ায়
শাঁখা সিঁদুরে শরীরের ভেতর শরীর মাতানোর রমণ প্রবণ
অঞ্জলিতে অঞ্জলিতে সব অন্ধকার নিংড়ে আলোর শোধন  
সন্ধ্যাবাতির অহংকার ভেঙে নিস্তব্ধ রাতের  মদির শয়ণ ।

জানিয়ে রাখা ভালো
জেনেছি তোমার বুকে শুয়ে
খুব সহজ ফুল ছিঁড়ে আনা, ফুল ফোটানোর কষ্টখানা
অন্যের দুঃখব্যথা নিমিষে জলের মতন করতে জানা
আকাশের চেয়েও ভাস্বর তোমার রূপ  
অরণ্যের চেয়েও   নিবিড় প্রেয়সী বুক
রঙিন উচ্ছ্বাসে
যথাযথ দেখেছি তোমার গোপন গোপনে
গহনের নন্দনে সন্ধ্যাকাম      তৃপ্তির ঘাম
ভালোবাসা দহন যজ্ঞ-চিরন্তন নিষ্পাপ নাম।

সুখী ঘুমের স্তনের বোটা
আমাদের সংসার গোটা
সুখ আছে বেঁচে বিনোদনের মহার্ঘ আবহ নিয়ে
ফিরে আসি কলঙ্ক ধুয়ে  অধিকারের রঙ  দিয়ে
তোমার নিকানো উঠোনে নিয়েছি দিব্যি দু’জনে
প্রজাপতির রঙ বাহারি যৌবনের প্রত্যূষ  গহনে
জন্মান্তর ধরে তুমি হবে জননী আমি হবো পিতা
সন্ততির সশ্রদ্ধ হাতে উঠবে   জ্বলে শান্তির চিতা ।


বিকাশ দাস / মুম্বাই