(এক )
তোমার ঈশ্বর আমার ঈশ্বর চুলোয় যাক
ধর্মের চুলোচুলিতে মানুষ মানুষই থাক।
(দুই)
শুনেছি ঈশ্বর থাকেন মন্দিরে আর খুদা থাকেন মসজিদে
খামোকা মানুষ লড়াই চালায় নিজের নিজের ধর্মের জিদে।
(তিন)
আমি থাকব কোন কোরানে কোন গীতায় কোন উপনিষদে!
সবাই আছে মেতে নিজের স্বার্থ মেটাতে ধর্মের অজুহাতে।
(চার)
ঈশ্বর খুব খুশি হোন গুঁজে দিলে মানুষের হাতে ধর্মের দীক্ষা
ঈশ্বরের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে মানুষ মাঙেন বেঁচে থাকার ভিক্ষা।
(পাঁচ)
ঈশ্বর জানেন ধর্ম মানুষকে না দিয়েছে শান্তি, না সততার ছাদ
এখনও মানুষ ধর্মের পেট খিদের ভেতর খোঁজেন বাঁচার স্বাদ।
(ছয়)
ঈশ্বর পা রেখেছেন জমিনে, চোখ রেখেছেন আকাশের দালানে
স্বর্গ মর্ত্য দুটোয় রেখেছেন নিজের দখল দালালির তত্ত্বাবধানে।
(সাত)
শুনেছি থাকলে উপোস পেটে ঈশ্বর নিশ্চয় আসেন ঘরে
ঈশ্বরের ভয় অন্ধকারে, তাই সববাতি জ্বেলে রাখি ঘরে।
(আট)
আজ সব দোষ নিয়েছি যদিও আমার মাথায় তুলে
দু’হাত খুলে সাজিয়ে ঈশ্বরের দু’পায় অনেক ফুলে।
(নয়)
যে ফুল ছুঁড়ে মারলে তুমি তোমার দেবতার মুখে
সে ফুল কুড়িয়ে নিয়ে যাও ঘরে থাকবে বলে সুখে।
(দশ)
তুমি ঈশ্বর বানাও ভেঙে কোন পাথর
তুমি হৃদয় বানাও ভেঙে কোন পাঁজর।
বিকাশ দাস