এক
তোমাকে কাছে পেলে আমি নদী হই।
তোমাকে ছুঁয়ে গেলে আমি সমুদ্র হই।
যেন চলিষ্ণু হাওয়ার ঝরাপাতায় বসন্তের ধুম।
নিশিভোর নিত্য নিঝুম। জলধি-জ্যোৎস্না-ঘুম।
দুই
তুমি পড়লে লাল পেড়ে হলুদ শাড়ি
যেন শতাব্দী ওপর ছড়ানো বসন্ত রঙিন বেলা
আমার যত আকাশখোলা মনের বাড়ি
মাটির অগাধ তুলে বিহঙ্গ অবাধ উড়ান খেলা।
তিন
দেখি না একটিও প্রজাপতি উড়তে হাওয়ায়
একটিও ফুল ফুটতে গন্ধে আকুল চাওয়ায়
তবু যে বসন্তের ছোঁয়া বুকের ওমে অনুরাগ জমে
তোমার হাতে ধোঁয়া ওঠা ফ্যানা ভাতে ক্রমে ক্রমে।
চার
যতদূর মনে পড়ে
ফোটেনি একটি ও ফুল সেদিন
করেনি ওড়াউড়ি কোনো প্রজাপতি দূর্বাঘাসে
পড়েনি চোখে জ্যোৎস্না-গুমর নক্সা আকাশে।
তবু ছিল এক বুকভরা এক অরণ্য ভালো থাকা
স্পর্শে স্পর্শে কোটি কোটি অনিন্দ্য হৃদয় মাখা
অবিস্মরণীয় বসন্ত দিন।
পাঁচ
প্রতিদিন সম্ভ্রমে নিচু হয়ে চুপ থাকা
শুশ্রূষার স্পর্শকাতর সম্পর্ক মাখা
জীবনভর জীবন জুড়ে ভালোবাসা
সমস্ত পাখির ঘরদোর দেখে আসা
মোমের আলো মুগ্ধতার ঝলকানি
নিভে এলে সূর্য আলোর জ্বালানী
এক চিলতে হলুদের ছোঁয়ায়,
ঘর-গৃহস্থালি উনুনের ধোঁয়ায়
প্রতিদিন প্রসন্ন প্রসূন বসন্তদিন।