ঈশ্বর এবার খেটে খা

ঈশ্বর এবার খেটে খা
কবি
প্রকাশনী ঋতুযান
প্রচ্ছদ শিল্পী সোমাদ্রি সাহা
স্বত্ব বিকাশ দাস
প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০১৮
বিক্রয় মূল্য ১৫০

ভূমিকা



শিকড়ের কবি

১.
কবিতা শোকের সান্ত্বনা, আনন্দের সমর্থন, বিপ্লব ও বিদ্রোহের প্রেরণা। কবিতার আবেদন বোধের কাছে। বোধির কাছে। ‘কবিতা’ শব্দের অর্থ ‘ব্যঞ্জনা’। যা বলা হচ্ছে তার অধিক কিছু। কবিতার শরীরে রাজনীতি প্রেম সমাজ সংসার পরিবেশ প্রতিবেশ মিলে মিশে থাকে। শান্ততা কি কবিতার জন্ম দিতে পারে? না কি ক্ষোভ বিরূপতা অশান্ততা—তার ধাত্রীভূমি।
প্রেমিকার বাড়িতে অপমানিত হয়ে ভলতেয়ার লিখে ফেললেন দীর্ঘ কবিতা, তৎকালীন কুখ্যাত শাসন ও শোষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, যা তাঁকে টেনে নিয়ে গেল কুখ্যাত বাস্তিল জেলে। এই জেলবাস তাকে বানাল পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী।
পৃথিবীর প্রথম কবির নামকরা জানি না। জানবও না কোনদিন। অজ্ঞাত থেকে যাবেন সেই সব কবিতা শ্রমিকরা। যারা গুহা নির্মাণ করতে করতে কিংবা কফি খেতে কাজ করতে গিয়ে বা চাষের কাজে ব্যাপৃত থেকে নিজেদের শ্রমকে লাঘব করতে জন্ম দিয়েছেন কবিতার। আর যে কোন কবিতাই ছিল তখন গেয়।
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীতে বসে কবিতা লিখছেন বিকাশ দাস। জীবন ও জীবিকা তাঁকে টেনে নিয়ে গেছে মুম্বইয়ে। সেখানে বসে সাংস্কৃতিক কাজ করছেন, কবিতাচর্চা করছেন।
কোন কবিরই সব কবিতা সার্থকতা লাভ করে না। বিকাশ দাসও তার ব্যতিক্রম নন। তবে মাঝে মাঝেই ঝলসে উঠছে অনেক পংক্তি , যা নাড়া দেবে ও সাড়া জাগাবে। সহৃদয়সংবাদী পাঠক মনে।

প্রবাসী বাঙালি আমার কাছে এক সম্ভ্রম ও শ্রদ্ধার বিষয়। প্রাণ ও অন্তরের তাগিদে মাতৃভাষার দায় বহন করেন তাঁরা। ইদানীং একটু সাম্প্রদায়িক ঝোঁক কারও কারও মধ্যে। যদিও সংখ্যায় তাঁরা কম। কষ্ট পাই। বিকাশদা আক্ষরিক অর্থে বিকশিত মানুষ। অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ। বিনয়ী সুভদ্র। আন্তরিক যত্নে কবিতার চাষ করেন।গত বছর কলকাতায় স্বভূমিতে তাঁর একটি বইয়ের উদ্বোধনে ছিলাম। এ পর্যন্ত সাতটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত। এই গ্রন্থ আরও পরিণত। চমকে দেওয়ার মতো কিছু পংক্তি আছে। ‘ঘরে আকাশ থাকতে/ তোমার আকাশ কেন কুর্নিশ করতে যাবো?/ আমার উঠোন ছেড়ে/তোমার উঠোনে কেন সুখ খুঁজতে যাবো?/ ধন্যবাদ ঈশ্বর’।
‘যদিও ঘুণপোকা পড়তে জানে না / তবু ভালোবেসে পড়ে থাকে শরীরে’।
বিকাশদা একটা সিঁড়ি খোঁজেন আকাশ বা স্বর্গ কিংবা ক্ষমতার কাছে যাওয়ার জন্য নয়, মাটির শিকড়ের কাছে যাওয়ার জন্য।

এই শিকড়হীনতার সময়ে আমাদের প্রয়োজন বিকশিত মননের বিকাশদের—যাঁরা বলবেন, ঈশ্বরের কোন উপত্যকা নেই।
কবির।
এবং মানুষেরও।
আমাদের গ্রামের নাম পৃথিবী।
বাড়ির নামও। এবং কবিতার-ও।
কুর্নিশ বিকাশ দাসকে—কারণ তিনি এই মোহমত্ত সময়ে কাব্যগ্রন্থের নাম রেখেছেন—ঈশ্বর খেটে খা। ধর্ম নয়, ধর্ম-ক্ষমতা-ব্যবসায়ীদের কাছে এ এক নতুন বার্তা। তাঁর কবিতা বহুল পঠিত হোক।
ড. ইমানুলহক
প্রাক্তন অধ্যাপক, প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা
সম্পাদক, ভাষা ও চেতনা সমিতি
৯৪৩৩১১৫৫৯৫ emanh66@gmail.com




উৎসর্গ

ঈশ্বরের কোনও উপত্যকা নেই

কবিতা

এখানে ঈশ্বর এবার খেটে খা বইয়ের ৫টি কবিতা পাবেন।

   
শিরোনাম মন্তব্য
অদৃষ্ট
অনুভূতি ১৩
ঈশ্বর ১০
দিতে পারি
ধন্যবাদ ঈশ্বর