চিরদিনের বাঙালি বাংলা ভাষার তুমি পূজারী
আকাশ-অরণ্য-প্রকৃতিমগ্ন ছন্দের অধিকারী।
ঘাত প্রতিঘাত দ্রোহের উতরোলে কাজী, মশগুল
সাম্যের কবি মানবতা-দরদি,বিদ্রোহী কবি নজরুল।
বেঁধেছ শব্দের অসিতে,রণরণিত স্বাধীন কণ্ঠস্বর।
সৃষ্টি-সুখের-উল্লাসে সর্বহারার অখণ্ডতার চরাচর
শব্দের প্রসূত এক অভিন্ন ধর্ম-সম্প্রদায় জাতপাত
পৃথিবীর গোলা ভরা ধান।মানুষের রক্তশ্রমের বরাত।
ধৈর্যশীলতা প্রেম ভালোবাসার শুদ্ধতম বলিদান
মানুষের হৃদয় অন্তরে নজরুল আজও অস্তিমান।
কাগজে কলমে যদিও দেখেছি মাটির বিভাজন।
শব্দ ছন্দের পরাগে পরাগে করেছ অসাধ্য সাধন।
সোয়াস্তি-স্বরাজ-আত্মদান মানুষ মানুষের বাঁধন।
ক্ষুধার অন্নে প্রাণের ঘ্রাণ দু’মুঠো ভাত একটু নুন
অন্তরে অন্তরে আগুনের আতরে জ্বালিয়ে উনুন।
এক হাতে বাঁশের বাঁশরী আর এক হাতে রণ-তুর্য
প্রেম-পীড়ন-তৃষ্ণার অলঙ্কার। বিপ্লব সমুদ্ধত সূর্য।
চির-উন্নত শির প্রাণখোলা হাসি মৃত্যুর পরাজয়
শব্দের সমৃদ্ধিতে শত্রুর কোলাকুলি প্রাণবন্তময়।
বেলা শেষে শাস্ত্র পুঁথি গ্রন্থ দুর্গতির পাতার দর্প ছিঁড়ে
যাপন ভ্রমণ হোক আকাশ খোলা সত্য সংসার-নীড়ে।
কাব্যের নিভৃতে ধরেছ আকাশ প্রকৃতির সবুজ হাওয়া
মনুষ্যত্ব সর্বশক্তিমান দু’চোখে বাঁধলে অভয় চাওয়া।
শব্দে চেতনা জাগিয়ে বলেছ অদৃষ্টের কঙ্কালে
বৃথা খুঁজিস তোর ঠাকুর। সে তোরই অন্তরালে।
বুকের পাঁজরে শ্রেষ্ঠ রত্নবৎ হৃদয় এক খানা
মন্দির-কাবা ঈশ্বর-খোদা পাথর সবার জানা। ।