সলতের আলো নিভলে
মৃত্যু শোকে ভেঙে পড়লে
তোমাকে দেখেছি
পা টিপে টিপে অন্ধকার উঠোন পার করে ঘরের ভেতর আসতে।
তোমার প্রত্যয়ময় দু’হাত
নিদ্রানিভৃত মৃত্যুর বুক চাপড়ে ফিসফিস করে দু’চোখে শুনেছি বলতে:
ঘুমোও। নিশ্চিন্তে ঘুমোও। মৃত্যু বলে কিছু নেই।
জীবন ঝিনুক সঞ্চয়ে যাও। প্রাণখোলা সমুদ্রের সৌন্দর্যের তৃষ্ণা কুড়োও ।
প্রতিদিনের সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত এক আকাশের গুলান।
স্বপ্ন এক পূর্ণ জীবন। কিছুক্ষণের প্রস্থান স্বল্প প্রয়াণ।
এই অন্ধকারই আলোর উদ্বৃত্ত। দু’চোখ বুজে সমস্ত জীবন খুলে
মাটি ছুঁয়ে ঘাস ছুঁয়ে গাছ ছুঁয়ে জীবনবোধের সবটুকু রসদ তুলে
প্রত্যেক মুহূর্ত দুঃখমুক্ত হও। প্রাণময় মৃত্যুর নিপুণ উত্তরণে।
মৃত্যুবিহীন অন্তহীন প্রাণ এক জীবন থেকে অন্য এক জীবনে।
কালো ঘনঘোর মেঘ ভেঙে প্রবল বৃষ্টি হয়
শ্রাবণ আসে তিমির রাত সৃষ্টি সংকট ময়
অনেক মৃত্যু দেখেছি
নিজের চোখের সামনে টুক করে চলে যেতে।
অসহনীয় অবসাদ দুঃখ-শোক ভেঙে চূরে যেতে
ক্লান্তিময় শরীরে অসীম শান্তি মৃত্যুর মুগ্ধতায়
গুজবনী গুঞ্জরি যায় সত্যের ছাই নিস্তব্ধতায় ।
তোমার মৃত্যুর আতুর দিনে দেখি জন্মাতে এক শিশির স্নাত অভিনব রবি
প্রত্যুষের আলোয় দাঁড়িয়ে আছে মুখভর্তি দাড়িতে আমার বিশ্ববরেণ্য কবি।