পুরো করোনাকালীন সময়
যখন কোন নেতা উপনেতা
পাতিনেতা কারোর খোঁজ নাই
করোনোর শেষ সময়,,
স্থানীয় কিছু নে-তাই,,
আশিয়া হুদাই
আমারে সুধায়,,
ত্রান চাই কিনা চাই?
আমি পড়িলাম মহা ঝামেলায়,,
জমানো টাকা যত-সামান্য, যা ছিল
সব গিয়াছে ফুরায়
ছোটখাটো ব্যবসায়
যা হত আয় ব্যায়
তাও তো হচ্ছে না ভাই
ত্রাণ চাবো কি না-চাবো
তা নিয়ে পড়ি, দোটানায়
শেষমেষ বলিলাম,
আমার আছে
অনেক প্রতিবেশী ভাই
তারা,,, অনেক অসহায়
তাদেরই দিয়েন না হয়
ত্রাণ চাহিতে লজ্জায়,
কেন জানি, মাথা কাটা যায়
লাইন ধরে রেশনের চালই তো
নেওয়া হয় নাই
এই লাজের মহিমায়
সেখানে ত্রান কিভাবে চাই?
ত্রাণের কার্ড দেওয়ায় চলে
নানা অনিয়ম দুর্নীতি
আর দুর্নীতিটাই হয়ে গেছে এখন
এদেশের সাধারণ রীতি
এদেশ এখন চোরেতে বোঝাই
এখানে চুরি করে ধরা পড়ার ভয়ে
পুকুরে চাল লুকায়
কত কিছুই যে মজুদ করে
মজুদ করতে-করতে, পচে নষ্ট হয়
তবুও এদের কোনো অনুশোচনা নাই
খাবারের ক্ষুধায়, মানুষের যে কি কষ্ট হয়?
তা বোঝার অনুভূতি, নেতাদের আর নাই
এদের মনুষ্যত্ব অনেক আগেই নিয়েছে বিদায়,
তার উপর আবার
বাজার আগুন
সয়াবিন তেলের দাম দ্বিগুণ,,
পেট্রোল-ডিজেলের দামে বাড়াবাড়ি
তার জন্য, সব কিছুর দাম
বেড়ে গিয়েছে,,,যেন,, আড়া-আড়ি
চারিদিকে শুধু হট্টগোল আর মারামারি
এরকম অস্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থায়
ব্যবসায়ীরা খুঁজে পেয়েছে নতুন এক সূত্র
অলিখিতভাবে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করো
টাকা কামানোর এটাই এখন মোক্ষম সময় এটাই এখন অসৎ ব্যবসায়ীদের মূলমন্ত্র
নিত্য-প্রয়োজনীয় মালের দাম
বেড়েছে হু-হু করে
মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের
প্রয়োজনীয়তা তাই কমাতে হচ্ছে,
যেটুকু না হলেই -নয়,
শুধু সেটুকুর জন্যেও, ঋণ করতে হচ্ছে
যাইহোক
মনে হয়, অভাবের তাড়নায়,
শুনিতে কৌতুহল হয়
ত্রাণে কি দেয়, না দেয়?
হয়তো দুই থেকে পাঁচ কেজি চাল
সেই পরিমাণ ডাল
তেল আর পিঁয়াজ
সেদিন যে কেন চাইতে পারলাম না
মনে-মনে তাই মরি আজ
কেন যে মধ্যবিত্তের এত লাজ
তাই মরমে মরমে মরি আজ
শেষে শুনিলাম
ত্রানে দিয়েছে
আধা কেজি চিনি আর অল্প কিছু সেমাই
এটা হল ঈদের উপহার
এটাই হলো আমাদের ত্রানের বাহার
আল্লাহর কাছে অশেষ
শুকরিয়া জানাই
সেদিন লজ্জায় , ত্রাণ চাই নাই,,,
শাসক থেকে নেতা, পাতিনেতা
মন্ত্রী থেকে এমপি,
বড় বড় রুই কাতলা
বড় বড় আমলা
ডিসি থেকে ওসি
বড় থেকে ছোট
সকল অসৎ ব্যবসায়ী
যখন ছেড়ে দিয়েছে মানুষের
মতো আচরণ,
মনুষ্যত্বের লালন,সম্ভ্রম,সততা
হয়ে গেছে স্বার্থপর, লোভী,
বিবেকহীন, নির্লজ্জ
তখন
আমাদের মত মধ্যবিত্তের মধ্যেই থাক
অপমান-বোধ,লজ্জা,
অনুশোচনা, অভিমান
সাধারণ অধিকার টুকুও
এখানে চেটে-চেটে চাইতে হয়
দলীয় চাটুকার, আর
তোষামুদি আছে হাজার হাজার
তাই প্রাপ্য জিনিস পাইতে হইলে
সেই রকম চাটার মত লোক দরকার
এটাই এখনকার সমাজ ব্যবস্থা
এর থেকে, কি আছে অপমান?
এর থেকে আর , কি আছে লজ্জা?
সালাম তোমাকে, মধ্যবিত্ত
তোমাদের মাঝে এখনো আছে জাগ্রত
লজ্জা,, লজ্জা,,,,,