কাঁটাতার সময় আটকে দিলো -
সময়ের ব্যাবধানে,
একান্নবর্তী সুযোগ আইনা দিলো,
তোমার আমার সীমান্ত -
এক হইলো না।
যে যোগাযোগ,
দূরত্বের পরিসীমা মাপলনা!
তারে পুঁজি কইরাই,
সীমানায় খুঁটি বসাইলা।
সরকারী আমলারে দিয়া
বৃত্তের ব্যাসার্ধ আঁকলা।
রেখার ভাঁজ খুঁইজা খুঁইজা
বিন্দু চিহ্নিত,
ষোলো পাঁইতের ঘর।
পকেট গেটের তীর চিহ্ন দিয়া
সামনে গেলেই,
রাজকীয় তালা ঝোলানো-
ভারী পাল্লার বন্ধ দড়জা।
তোমার দম আটকায়না?
তুমি রোজ
আমার দু:খ গুলারে যে,
শোকেসে সাজাও!.
তোমার আফসোস হয়না?
সীমানা ঘেঁষে,
রক্ষীকোষের সোডিয়াম আলো-
তোমার ছাঁয়া পৌছে দেয়
আমার তল্লাটে।
কই সীমানার তো-
কিছু যায় আসে না!
কঁটাতার পদধূলি আটকায় দিলো
তোমার ছায়া-
আটকায় রাখতে পারলো না।
বন্দুক নিসৃত আগুনের ফুলকি,
আবেগ শূণ্য বুলেটের আঘাত-
শরীরের রং পালটায় দিলো।
স্বপ্ন দেখায় দেখায়-
রাজ্য হীন রাজা বানায় দিলো।
শুধু তোমার আমার,
সীমান্ত এক হইলো না।