তুমি প্রেমিক হতে বললে;
আমি প্রেমিক হবার তাড়নায় অপ্রেমিক হয়ে গেলাম।
তোমার মতো আমি হতে বললে;
ঘাম ঝরা বিকেলে অশান্ত বৃষ্টি হয়ে ঝরলাম।
কিছুটা গোছানোর চেষ্টা করেলে;
উদাসীন হয়ে নিরুদ্দেশ হবার প্রবণতা দেখা দিলো।
হারিয়ে যেতে বারণ করলে;
কূয়াশার আকুতি নিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলাম দূরে।
অপ্রেমিক হবার চেষ্টা করিনি;
তবুও সকাল অপ্রেমিকের গান গেয়ে জানান দেয়।
চোখ বুঝে খুঁজতে গেলাম,
মনের অর্ধ ব্যাসার্ধ ঘিরে ব্যাথা,যন্ত্রনাদের সহবাস।
তুমি প্রতিষ্ঠিত আমি চাইলে;
সমাজ,সংসারি তাড়নায় সব ভুলে যেতে চাইলাম।
আলগোছে সরে গিয়ে,
পৃথিবীর মোহ-মায়া থেকে অনেক দূরের মেঘ এখন।
চাইলেই ছুঁতে পারবেনা তুমি,
তোমার ইচ্ছেরা ক্ষান্ত হবে, না পাওয়ার বিরহে।
তুমি কত করে বলেছিলে, ভুলে যেওনা;
ঠিক ভুলে গেছি নানান অযুহাতে, বন্দি খাঁচা ভুলেছি,
ভালোবাসা ভুলেছি,তোমার নিষ্পাপ চাহুনি ভুলেছি।
ঝাউ বনের ধার ঘেঁষে প্রকৃতি এখন আমি;
অপ্রেমে ছেঁয়ে গেছে সব প্রকৃতির নির্জন সরলতা।
কোমল হ্নদয় ছয়লাব অপ্রেমের গুনজনে;
এলান হয় মৃত আত্মার শেষ কৃত্তির।
তবুও অপ্রেমিক হয়ে বেঁচে থাকা;
সমাজের অপদার্থ নাগরিক থেকে নির্বাচিত কবি ।
এখন যে পৈশাচিক আনন্দ তোমার,
অপ্রেমিকের প্রতি ছুঁড়ে দেওয়া অট্টহাসি পুরাতন।
সে আর নতুন কি?
নির্বোধের সয়ে যাওয়া ইতিকথা।
এক অপ্রেমিকের ভালবাসাহীন বিবর্ণ পৃথিবীর শেষ পরিণয়।