ছক্কার গুটিতে লাশের সময় নির্ধারণ হয় জেলপুলিশে,
মর্চুরি থেকে দেহ বের হয় মাল হয়ে।
চুলচেরা চিরুনী অভিযান হয় দেহের শিরা উপশিরায়,
স্টোক নাকি পয়জনিং লিপি বদ্ধ কাগজের পাতায়।
থানা থেকে এসএমএস চালা হয় রাত ভোর,
শেষ সর্দার ঘর হয়ে যান্ত্রিক যানের দরাদরি,
সাওয়ারী হয় পুলিশ কেসের কাঙ্ক্ষিত লাশ।
দু'হাজার থেকে পাঁচ হাজারে দর বাড়ে এম্বুলেন্সে,
সে কি টলি খরচের বায়না মেডিকেল বুয়াদের!
তার কখনোই লাশ হয়না, হয়না লাশের বাদি,
দু'শ ঝুলিতে ঢুকলেই মরদেহের যত্ন বাড়ে।
মর্গের পড়ে থাকা বেওয়ারিশ লাশের মিছিল,
দরকষাকষি থেকে বেঁচে গেছে বেচারা।
স্বজন নেই, কোনো খরচ নেই,
শুধু অপেক্ষাকৃত কঙ্কাল হবার দালালের খপ্পর।
ঝুলে যাবে কখনো মেডিকেল ছাত্রের দেয়ালে,
হাজার দশেক ডিল হবে বেওয়ারিশ লাশের।
ভুত হয় নাকি সৎকার না হওয়া লাশের আত্মা?
হবে হয়তো, তবুও লাশ ডাকে তারে ডোমেরা।
বুক চিরে কি লাশের জমে থাকা কষ্ট খোঁজে ডাক্টার?
নাকি লাঘব করে কিছুটা পরকালীন শাস্তি?
দূর থেকে কেঁচি গেট দিয়ে তাকি আছে হাজতি লাশ,
লাশ হবার আক্ষেপ নিয়ে বেঁচে আছে কিছু মৃত মানুষ।
তারাই আবার লাশের ওয়ারিশ হয়ে লাশ খোঁজে,
বাবা খোঁজে ছেলের শোকে পালটা কেসের উকিল।
উকিল কি জীবন দেয় নাকি? নাহ্! দুটো প্রাণ নেয় আরও।
জমি সংক্রন্ত মোহ এখন বিশিষ্ট লাশের মর্চুরি।
পাশে রুগীর শোক নিয়ে সময় তাড়ানো মানুষ,
দু'চারটে শান্তনা হয় ওয়ারিশদের অবুঝ মনে।
আফসোস! আফসোস বলেতে বলতে,
নিজের শোক নিয়ে কেটে পড়ে মর্চুরির ভয়ে।
আহা উত্তাপ লাশের! জীবন হরণের ভিড়ে,
কাড়ি কাড়ি টাকার অযুহাতে স্বর্গ থেকে নরকে।
লাশ হয় বাহান্ন কিংবা কুড়ির পরতে পরতে,
বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে থাকে শুধু অমীমাংসিত মর্চুরি।